Skip to content

দিন-রাত কাজ করছে কামার, কিন্তু ক্রেতা নেই | বাণিজ্য

দিন-রাত কাজ করছে কামার, কিন্তু ক্রেতা নেই | বাণিজ্য

<![CDATA[

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। কাজ চলছে দিনরাত। তাদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে কাজে দম ফেলার ফুসরত না থাকলেও; বেচাবিক্রি তেমন নেই।

শুক্রবার (১৬ জুন) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজার ঘুরে কামারদের ব্যস্ততার এ চিত্র দেখা যায়।

 

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। ঈদ উপলক্ষে তাই ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়। দিনরাত পরিশ্রম করে কামারশিল্পীরা কোরবানির ঈদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন। দোকানের সামনে সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাংস কাটার সরঞ্জাম।

 

আরও পড়ুন: কোরবানির আগেই কামারদের ব্যস্ততা শুরু

 

তবে চাহিদার যোগান দিতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরির করলেও বেচাবিক্রি তেমন নেই বলে জানান কামাররা। তারা বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে বেচাকেনা জমে ওঠে। কিন্তু এবছর বিক্রি নেই বললেই চলে।

 

মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরি করছেন একজন কামারশিল্পী। ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়

 

নারায়ণ বিশ্বাস নামে একজন কামারশিল্পী জানান, ‘গত বছরেও এই সময়ে প্রচুর ক্রেতার চাপ ছিল। কিন্তু চলতি বছর হঠাৎ করেই বাজার পড়ে গেছে। এখনও ক্রেতারা কেনাকাটা শুরু করেননি।’

 

একই দোকানে কাজ করা আইয়ুব নামে এক কারিগর জানায়, ‘দিনরাত কাজ করে মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরি করছি। তবে ক্রেতার দেখা নেই।’ এ ছাড়া শেষ সময়ে চাপ বাড়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, কামারদের কেউ তৈরি করেছেন নতুন যন্ত্রপাতি, অনেকে শান দিয়ে চকচকে ও ধারালো করছেন গত বছর অবিক্রীত ছুরি, চাপাতি। প্রতিটি দোকানেই চলছে মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কর্মযজ্ঞ। বাজারে কেজি প্রতি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। আর মাংস ছিলার কাজে ব্যবহৃত চাকু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।

 

আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে, ব্যস্ত কামারপল্লি

 

কথা হয় মাংস কাটার সরঞ্জাম কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। তারা জানান, আগের বছরের চেয়ে দাম তুলনামূলক বেশি। গত বছর যে চাকু ১০০ টাকায় পাওয়া যেত; সেটি এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

 

তবে বিক্রেতারদের দাবি, যন্ত্রপাতি তৈরির উপাদানের খরচ বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া চাঁদরাতে বেচাবিক্রি বাড়বে বলেও জানান তারা।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *