Skip to content

দেশে দারিদ্র্যের হার ২২-২৩ শতাংশের বেশি নয়

বর্তমানে দেশের দারিদ্র্যের হার ২২ থেকে ২৩ শতাংশের মধ্যে, এর চেয়ে বেশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ’-শীর্ষক বিষয়ের ওপর ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

আরও পড়ুন: ‘কোভিডে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ‘কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতির প্রভাবে দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ’, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক খানা জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। এসময় মন্ত্রী  ‘দেশে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ’ খবরটি নিয়েও বেশি করে খোঁজখবর নেওয়ার তাগিদ দেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি প্রণোদনার প্রবাহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পৌঁছায়নি। তবে করোনাকালীন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সামর্থ্য হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) একখানা জরিপে প্রকাশ করে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতির প্রভাবে দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির এক ওয়েবিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

দেশের ৬৪টি জেলার ওপর চালানো ‘দারিদ্র্য ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সানেম।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা জরিপ অনুসারে, ২০১৬ সালে দেশের গ্রামাঞ্চলের সার্বিক দারিদ্র্য ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৮ সালের জিইডি-সানেম জরিপ অনুসারে যা ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ আর করোনার সময়ে ২০২০ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

জরিপে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসীয় আয়ের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হলেও ব্যক্তিক পর্যায়ে তা বরং কমে গেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, অনানুষ্ঠানিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী আয় এসেছে। এতে বিনিময় হার কমে গেছে। ৮২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ পরিবার বলেছে, দেশের বাইরে থেকে আসা প্রবাসী আয় কমেছে। একই ক্ষেত্রে আগের মতো আছে বলেছে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ পরিবার। ফলে প্রবাসী আয়ের প্রভাব সমাজে অতটা অনুভূত হয়নি, যতটা বলা হয়েছে, সে তুলনায়।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান।

জরিপের ফলাফলে দেখানো হয়, করোনার প্রভাবে দারিদ্র্যের কারণে মানুষ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন, ঋণ নিয়েছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছেন। আবার জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ পরিবার বলেছে, তারা খাপ খাওয়ানোর পথই খুঁজে পায়নি।

DMCA.com Protection Status

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *