<![CDATA[
ধ্বংসস্তূপে মেয়ের মরদেহ, সেখানেই হাত ধরে বসে আছেন বাবা। অসহায় এ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রী। খবর ডেইলি মেইলের।
বাবার অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন হার মেনেছে। তার চোখে পানি নেই, রাজ্যের হতাশা আর অসহায়ত্ব চোখ মুখ জুড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে নিরুপায় এক বাবার অসহায়ত্বের মুহূর্ত। শোকে নির্বাক বাবা বসে আছেন মেয়ের মরদেহের পাশে।
মেসুত হ্যান্সার, তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের বাসিন্দা। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের। কিন্তু এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ধংসস্তুপ ছেড়ে যাননি মেসুত হ্যান্সার, বসে আছেন মেয়ের হাত ধরে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা কেবলই বাড়ছে। এছাড়া আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলোতে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মিলছে ভয়েস মেসেজ
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনটাই অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, তাদের হিসাবে অনুযায়ী, দুই দেশ মিলিয়ে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি শিশু।
তুরস্কে ২৪ হাজারের বেশি দুর্যোগ ও জরুরি কর্মকর্তা উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেঁচে যাওয়া মানুষেরাও। তবে প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সময়মতো বেঁচে থাকা মানুষের কাছে তারা পৌঁছাতে পারছেন না। এ কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩৩ ঘন্টা পর উদ্ধার ৪ বছরের জীবিত শিশু
তুষারপাত ও আফটার শকের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। হতাহতের সংখ্যা ৮ গুণ বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে আগামী ৩ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
]]>