<![CDATA[
আরেকটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনার সাক্ষী হলো সিরিয়া। তবে একই সঙ্গে ঘটনাটি মজারও। গত সোমবারের ভূমিকম্পের পর দেশটির একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন কিলিন ও রোজিয়ে দম্পতি। অবশেষে ভূমিকম্পের ১০৯ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার কর হয়।
উদ্ধারকাজ শুরুর পর উদ্ধারকর্মীরা যখন ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রাণের অস্তিত্ব টের পান, তখন যেন তাদের কাজে আরও গতি আসে। হাড়হিম করা ঠাণ্ডা আর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও কাজ চালিয়ে যান তারা।
অবশেষে কিলিন ও রোজিয়ের খোঁজ পাওয়া যায়। বিশাল ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় ছিলেন তারা। সেগুলো সরিয়ে তাদের বের করতে আরও সময় দরকার হয়।
এ সময় তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন উদ্ধারকর্মীরা। তখন উদ্ধারকর্মীদের কাছে চা ও সিগারেট চেয়েছিলেন কিলিন। যদিও তাকে সেগুলো সরবরাহ করেননি উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প /১২৯ ঘণ্টা পর পাঁচ সদস্যের পরিবার জীবিত উদ্ধার
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের পর ছয়দিন পেরিয়েছে। বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে চারদিকে লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মী ও সাংবাদিকরা এমনটাই জানাচ্ছেন। আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে তৎপরতা জোরালো করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়রি) পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ ও সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৫৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই ২০ হাজার ৬৬৫ জনের মরদেহ রয়েছে। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫০০।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প /ধ্বংসস্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে লাশের গন্ধ
কয়েক হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে হাড়হিম করা ঠান্ডায় আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না তারা। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা।
]]>