Skip to content

নাটোরের ৪০ হাজার সেচ পাম্পের মধ্যে বৈধ ৭ হাজার | বাংলাদেশ

নাটোরের ৪০ হাজার সেচ পাম্পের মধ্যে বৈধ ৭ হাজার | বাংলাদেশ

<![CDATA[

নাটোরে সচল প্রায় ৪০ হাজার অগভীর গভীর ও অগভীর সেচ পাম্পের মধ্যে অবৈধ ৩৩ হাজার সেচ পাম্প। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পানি তোলায় নামছে পানির স্তর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সভাপতি করে উপজেলা সেচ কমিটি থাকলেও, নেই কোনো তদারকি।

জেলার চলনবিল ও হালতি বিলে বোরো ধান আবাদের জন্য এই ২টি বিল ছাড়াও পুরো জেলায় সেচের জন্য ৩৯ হাজার ৩৬০টি গভীর ও অগভীর সেচ পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৭০টির অনুমোদন থাকলেও ৩২ হাজার ৯০০টির অনুমোদনহীন।

হালতি বিলের কৃষক শামুসুল বলেন, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার সেচ বেশি লাগছে। আর বেশি সেচ দিতে গিয়ে নামছে পানির স্তর। এর ফলে অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে।

কৃষক রশিদ দাবি করেন,  সেচের পদ্ধতির বিষয়ে কোনো বিভাগের কর্মকর্তা তাদের সচেতন করেনি। আর এগুলো অবৈধ তাও তারা জানেন না।

আরও পড়ুন: গৃহস্থালি কাজের মিনি পাম্প বসিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন কৃষক!

কৃষক হেলাল বলেন, হালতি বিলে যেভাবে পানির স্তর নামছে আর দ্রুত বৃষ্টিপাত না হলে ১৫ থেকে ২০ দিন পর সেচের জন্য তারা পানি পাবেন না।

বিএডিসি ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাটোর জেলায় ৫৭০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দেন।

নাটোরের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল করিম সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩০৭টি সেচ পাম্পের আওতার জমিতেও অবৈধভাবে সেচ পাম্প বাসানো হচ্ছে। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎসহ সেচ কমিটিকে অভিযোগ করেও তারা প্রতিকার পাননি।

মুহাম্মদ আহসানুল করিম বলেন, পানি উত্তোলনের নিয়ম না মানায় বিলগুলোতে পানির স্তর ৩০ ফিট নিচে নেমেছে। এভাবে পানি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে পানির স্তর আরও নিচে নামবে।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেচের পানির অভাবে কৃষকের হাহাকার

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ নিয়মনীতি মেনে সেচ পাম্পে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। অবৈধ সেচ পাম্পের  পল্লী বিদ্যুতের  সংযোগ থাকলে বিচ্ছিন্ন করা হবে জানান তিনি।

বিএডিসি (সেচ) নাটোর রিজিওনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২৫০ মিটার পর পর অগভীর সেচ পাম্প বসালে পানির স্তর দ্রুত নামবে না। আর বিএডিসি নিয়ম মেনে বিএডিসি নিয়ম মেনে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাটোর জেলায় চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *