Skip to content

নারীর শরীর স্পর্শ সংক্রান্ত বিতর্কিত রায় স্থগিত

ভারতের বোম্বে হাইকোর্টের দেয়া এক বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে বোম্বে হাইকোর্ট রায় দেন, কাপড় না খুলে নাবালিকার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিলে সেটি যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হবে না। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, হাইকোর্টের ওই আদেশ নিয়ে চরম বিতর্কের মুখে বুধবার সেটি স্থগিত করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালকে পিটিশন দায়েরেরও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। বোম্বে হাইকোর্টের ওই আদেশ ‘বিপজ্জনক উদাহরণ’ সৃষ্টি করবে বলে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন অ্যাটর্নি।

বুধবারের আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ওই রায় আমাদের নজরে এনেছেন। যাতে হাইকোর্ট শিশুদের যৌন সুরক্ষা আইনের (পকসো) ৮ম ধারায় অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছেন এই বলে যে, সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ না হওয়ার অর্থ অভিযুক্তের যৌন হয়রানি করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এই আদেশ নজিরবিহীন এবং সম্ভবত একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে বলে উল্লেখ করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

একইদিন ১২ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে যৌন হয়রানির দায়ে এক আসামির সাজার মেয়াদ কমাতে হাইকোর্টের একটি রায়ও স্থগিত করেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।

গত ১৯ জানুয়ারি বিতর্কিত ওই আদেশ দিয়েছিলেন বোম্বে হাইকোর্ট। এতে বলা হয়েছিল, পোশাকের ওপর দিয়ে কোনো নাবালিকার স্পর্শকাতর অঙ্গে স্পর্শ করলে যেহেতু ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সরাসরি সংযোগ হয় না, এ কারণে সেটি শিশুদের যৌন সুরক্ষা আইনে (পকসো) অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না।

স্থানীয় একটি নিম্ন আদালত ৩৯ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পকসো আইনে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অনুসারে, ২০১৬ সালে নাগপুরের ওই ব্যক্তি শিশুটিকে কিছু একটা খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি নাবালিকার স্পর্শকাতর জায়গা চেপে ধরেন এবং তার পোশাক খোলার চেষ্টা করেন।

কিন্তু বোম্বে হাইকোর্টের বিচারক পুষ্প গানেদিবালা তার রায়ে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির কাপড় না খুলেই শরীরে হাত দিয়েছেন। এ কারণে এটি যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না। একে বড়জোর একজন ‘নারীর সম্মানে আঘাত’ বলা যায়, যার কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় সাজা হতে পারে।

DMCA.com Protection Status

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *