<![CDATA[
পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ মাস পর মুন্না হাওলাদার (১২) নামে এক শিশুকে উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের চাষারা এলাকা থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মে চুরির অপবাদে নির্যাতনের পর শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া মুন্না গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
এর আগে নির্যাতনের এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা এখন জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ৫০ প্রকার ভেজাল ভোগ্যপণ্য উদ্ধার
পুলিশ জানায়, গত ১০ মে চুরির অপবাদে মুন্নাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছিল। নির্যাতন সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে এ নিয়ে সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নির্যাতনের এ ঘটনায় মুন্নার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাও করেছিলেন। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তবে আসামীরা এখন জামিনে রয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শূনিত কুমার গাইন জানান, পুলিশের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের একপর্যায় জানা যায় মুন্না নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষারা এলাকায় রয়েছেন। পরে কৌশল অবলম্বন করে পরিবারের সহায়তায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মৃনাল চন্দ্র সিকদার অভিযান চালিয়ে মুন্নাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, ৮৫ হাজার টাকা চুরির অপবাদে তার ছেলেকে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে যায় তার মামা হজরত আলী, মামী মমতাজ বেগম ও মামাতো বোন তানিয়া বেগম। পরে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে দফায় দফায় নির্যাতন করা হয়। ৯ মে থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্যাতন চালায় তারা। এরপরে ১১ মে মধ্যরাতে পালিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুন্না।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
এদিকে উদ্ধার হওয়া মুন্না পুলিশকে জানান, গত ৯ মে আত্মীয় ও সম্পর্কের লোকজন টাকা চুরির অপরাধে ওই দিন তাকে কয়েকদফা মারধোর করেছিলেন। পরে শিকল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদের ভয়ে পালিয়ে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষারা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করে জীবন যাপন করছিলেন।
]]>