<![CDATA[
উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নেসকোর ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহক। তাদের অভিযোগ, মিটার না দেখে প্রতি মাসে খেয়ালখুশিমতো ইউনিট বসিয়ে দেন রিডাররা। বারবার অভিযোগ করার পরও কোনো ফল না পাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
ফাহিদ আনসারী প্রাঞ্জল। বছর তিনেক আগে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে একটি রেস্টুরেন্ট কিনে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও পরে করোনার ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে ২০২২ সালের মাঝামাঝি রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেন।
ফাহিদ আনসারীর অভিযোগ, গেল জুনে বন্ধ থাকা রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ বিল আসে ১৮ হাজার ৬৮৬ টাকা, আর জুলাই মাসে ২৪ হাজার ৭৭০ এবং আগস্টে ২১ হাজার ২৩৪ টাকা। অথচ রেস্টুরেন্ট পরিচালনার সময় প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। এ নিয়ে নেসকোর বিভিন্ন দফতরে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
ভুক্তভোগী ফাহিদ আনসারী প্রাঞ্জল বলেন, ‘ভুতুড়ে বিল নিয়ে বারবার দফতরে বিভিন্ন অফিসারের কাছে গিয়ে আমি কোনো সমাধান পাইনি।’
আরও পড়ুন: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ, গ্যাস সংকটকে দায়ী করছে নেসকো
শুধু তিনি নন, তার মতো অনেকে নেসকোর মনগড়া বিলের খপ্পরে পড়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি নেসকোর কোনো কর্মকর্তা।
রাজশাহী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায় বলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে সমাধান করে সেটা পাঠিয়ে দেব। একেবারে ভুতুড়ে বিল আসছে এমনটা নয়।’
নগরীতে প্রতিদিন ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। আর গ্রাহকসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।
]]>