<![CDATA[
ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন জোটের সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শর্ত জুড়ে দেন তিনি।
স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘কিয়েভ ইতিমধ্যে নিজেকে পশ্চিমা ব্লকের একটি ডি-ফ্যাক্টো সদস্য হিসাবে বিবেচনা করছে। ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে ন্যাটোর অবস্থান অপরিবর্তিত। আমরা ২০০৮ সালে সম্মত হয়েছিলাম যে ইউক্রেন জোটের সদস্য হবে। আমাদের অবস্থান পাল্টায়নি।’
তবে তিনি আরও বলেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ হল ইউক্রেন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিরাজ করছে তা নিশ্চিত করা। কারণ ইউক্রেন সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র না হয়, ভবিষ্যতে ন্যাটো ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করার কোনো উপায় নেই।’
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, ইউক্রেনের বর্তমান সংঘাতের সমাধান হলে এই (ন্যাটোতে যোগদান) আলোচনা হবে। ন্যাটো দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে আসছে যে সব সম্ভাব্য সদস্যদের জোটে যোগদানের আগে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৯ হাজার ওয়াগনার সেনা নিহত
ইউক্রেনীয় সেনাদের এখন একাধিক ন্যাটো দেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ব্লকের সদস্যরা কিয়েভকে অস্ত্রও সরবরাহ করছে। চলতি মাসের শুরুতে স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ন্যাটো দেশগুলো ইতোমধ্যে ইউক্রেনে প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। এ সমর্থন অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে ন্যাটো প্রধান শনিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ন্যাটো দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে আসছে যারা এই জোটে যোগদান করতে চান, তাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক বা জাতিগত বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে।
ইউক্রেনীয় সেনাদের বর্তমানে একাধিক ন্যাটো দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ন্যাটোর সদস্যরা কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে। এই মাসের শুরুতে, স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ন্যাটো দেশগুলি ইতিমধ্যে ইউক্রেনে প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। স্টলটেনবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকলেও এই সমর্থন অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে।
]]>