Skip to content

পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ: প্রাণঘাতী হামলার নেপথ্যে কী? | আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ: প্রাণঘাতী হামলার নেপথ্যে কী? | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। আর হামলার এ ঘটনা নিয়ে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে হামলার নেপথ্যের কারণ।

গেলো সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর এরই মধ্যে শতাধিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। হামলার সময় তারা মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন। 

বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল কারণ বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক ধারণা, মনোবল ভেঙে দিতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া কারা হামলা চালিয়েছে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। 

আরও পড়ুন: মসজিদে বোমা হামলা /পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের প্রশ্নবিদ্ধ

সোমবারের হামলার পর শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলা চালিয়েছে। যদিও পরে সংগঠনটি হামলার দায় অস্বীকার করে। টিটিপি দায় অস্বীকার করলেও তা মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি অতীতেও অনেক হামলার পর দায় অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। 

বিস্ফোরণের পেছনের কারণ তাহলে কী? বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ‘যুদ্ধবিরতি’ থেকে বেরিয়ে যায় অনেক জঙ্গি সংগঠন। এরপর থেকেই দেশটিতে বেড়েছে সহিংসতা। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অস্ত্র জমা দেয়ার শর্তে দেশে ফিরলেও, পরে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হননি জঙ্গিরা। আর এখান থেকেই মূলত বর্তমান সমস্যার শুরু। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০০

ইমরান খান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনী জঙ্গিদের দাবির সঙ্গে একমত হয়নি। তারাও তালেবানের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দেন। ফলে গত বছরের নভেম্বরে তালেবান যুদ্ধবিরতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে হামলা শুরু করে। আর মাত্র দুই মাসের মাথায় এ ভয়াবহ হামলার সাক্ষী হলো পেশোয়ার।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *