<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে পায়রা বন্দরের আমদানি ও পণ্য খালাসের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্দরের চ্যানেল থেকে তিন বিদেশি জাহাজসহ সব লাইটারেজ জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) নতুন খনন করা চ্যানেল সুরক্ষিত রাখতে বিকেলেই জাহাজগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। এমভি আর্ক রাফায়েল, এমভি ওয়াইএম এডভান্স ও এমভি প্লাজিকা নামের তিন মাদার ভ্যাসেলসহ সব লাইটারেজ জাহাজগুলো ইনার এ্যানক্রোজ থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পায়রা থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড় মোখা
তিনটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে পায়রা বন্দরে এসেছিল। এর মধ্যে এমভি আর্ক রাফায়েল কয়লা খালাস শেষে বিকেলে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নতুন খনন করা রামনাবাদ চ্যানেলকে সুরক্ষিত রাখতে জাহাজগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে চ্যানেলের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে, সেটিও নজরদারি করছে বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানডিনুল।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান সময় সংবাদকে জানান, পায়রা বন্দরে ৭৫ কিলোমিটার চ্যানেলকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সব জাহাজ সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে ঝুঁকি এড়াতে লাইটারেজ জাহাজগুলোও ইনার থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে পায়রা বন্দর এখন ঝুঁকিমুক্ত।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে মোখা, রাতেই লন্ডভন্ড হতে পারে সেন্টমার্টিন
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ এবং করণীয় নির্ধারণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম। এছাড়া তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে টিম তিনটি গঠন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
]]>