<
ছোট সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সিফাতের মা ফারহানা ইসলাম জানান, আইসিইউতে দেখতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। বার বার অনুরোধের পরও ডাকা হয়নি সিনিয়র চিকিৎসককে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, আদালতে মামলা
তিনি বলেন,
ডাক্তার আমাকে যাওয়ার সময় বলে দিয়ে গেছে, লেভেলটা বাড়ছে। তাই আর কোনো ভয় নেই। আমার ছেলের রিপোর্ট আসেনি। এর মধ্যে নার্স একটা ইনজেকশন দিয়েছে। নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কীসের ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। তখন তিনি জানান, এটা তার জানা নেই। এটা ডাক্তার জানেন। আমার ছেলে বলে, স্যার, ‘একটু পানি দেন আমাকে। আপনার পায়ে ধরি।’ কিন্তু তাকে পানি দেয়া হয়নি। পানি ছাড়া আমার ছেলেটা মারা গেল।

এদিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকের দাবি, রোগীর চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি হয়নি। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ভয়ংকর ধরন: এক কামড়েই বিকল মস্তিষ্ক, ঘটাচ্ছে মৃত্যু
আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল তানিম বেলন, ‘প্রেসার কম থাকায় আমাদের যা যা প্রয়োজন ছিল, সবই করেছি। চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি ছিল না।’

ওমার বিন সিফাত রাজধানীর মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে মাদ্রাসায়ে তাকরিমুল কোরআন ওয়া সুন্নাহতে ১১ পাড়ার হাফেজ ছিল বলে জানিয়েছে পরিবার।
]]>