Skip to content

‘পায়ে ধরার পরও আমার ছেলেটাকে একটু পানি দেয়নি ওরা’ | বাংলাদেশ

‘পায়ে ধরার পরও আমার ছেলেটাকে একটু পানি দেয়নি ওরা’ | বাংলাদেশ

<![CDATA[

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, অবস্থার অবনতি হলে বারবার অনুরোধের পরও ডাকা হয়নি সিনিয়র কোনো ডাক্তারকে। উল্টো খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। ছেলেটাকে একটু পানিও দেয়া হয়নি।

রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ওমার বিন সিফাতকে স্থানান্তর করা হয় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পিএসইউ বিভাগে। এ সময় তার প্লাটিলেট ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার।

 

স্বজনরা জানান, রাত ৯টা পর্যন্তও কোনো জটিলতা ছিল না শিশুর। কিন্তু মধ্যরাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতের শিফটের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সিফাত মারা যায় বলে অভিযোগ তাদের। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবার।

 

সন্তানের মৃত্যুতে বাবা-মায়ের আহাজারি থামছেই না। ছবি: সময় সংবাদ

 

সিফাতের বাবা মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, 

নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমার ছেলের পালস কত আছে। মেশিনে দেখিয়েছে, ৭৯ থেকে ৮০ পর্যন্ত ওঠানামা করছে। এই অবস্থা দেখে আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছি। নার্স আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায়। বলে ফোনটা আমার কাছে জমা দেন। সকালে নিয়ে যাবেন। এখানে ফোন ব্যবহার করা যাবে না। আমাকে ধমক দিয়ে বের করে দেয়া হয়।

চিকিৎসায় অবহেলা ছিল বলছেন উমারের বাবা মুফতি সাইফুল ইসলাম। ছবি: সময় সংবাদ

 

ছোট সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সিফাতের মা ফারহানা ইসলাম জানান, আইসিইউতে দেখতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। বার বার অনুরোধের পরও ডাকা হয়নি সিনিয়র চিকিৎসককে।

 

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু, আদালতে মামলা

 

তিনি বলেন, 

ডাক্তার আমাকে যাওয়ার সময় বলে দিয়ে গেছে, লেভেলটা বাড়ছে। তাই আর কোনো ভয় নেই। আমার ছেলের রিপোর্ট আসেনি। এর মধ্যে নার্স একটা ইনজেকশন দিয়েছে। নার্সের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কীসের ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। তখন তিনি জানান, এটা  তার জানা নেই। এটা ডাক্তার জানেন। আমার ছেলে বলে, স্যার, ‘একটু পানি দেন আমাকে। আপনার পায়ে ধরি।’ কিন্তু তাকে পানি দেয়া হয়নি। পানি ছাড়া আমার ছেলেটা মারা গেল।  

 

সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সিফাতের মা ফারহানা ইসলাম। ছবি: সময় সংবাদ

 

এদিকে দায়িত্বরত চিকিৎসকের দাবি, রোগীর চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি হয়নি। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ভয়ংকর ধরন: এক কামড়েই বিকল মস্তিষ্ক, ঘটাচ্ছে মৃত্যু

 

আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল তানিম বেলন, ‘প্রেসার কম থাকায় আমাদের যা যা প্রয়োজন ছিল, সবই করেছি। চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি ছিল না।’  

 

আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল তানিম। ছবি: সময় সংবাদ

 

ওমার বিন সিফাত রাজধানীর মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে মাদ্রাসায়ে তাকরিমুল কোরআন ওয়া সুন্নাহতে ১১ পাড়ার হাফেজ ছিল বলে জানিয়েছে পরিবার।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *