<![CDATA[
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ হলেও বড় পর্দায়ও রয়েছে সমান পদচারণা। দুই যুগের ক্যারিয়ারে শত শত নাটকে নিজের জাত চিনিয়েছেন, তেমনিভাবে তিশার ঝুলিতে সিনেমার সংখ্যাও নিতান্তই কম নয়। ডজন খানেক সিনেমায় কাজ করেছেন তিশা। সংখ্যার হিসেবে কিছুটা কম হলেও, বেশ সমৃদ্ধ সেই তালিকা। তাতে এবার আরেকটি বিশেষ সিনেমা যুক্ত হচ্ছে। যার নাম ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।
মুক্তি উপলক্ষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে (বসুন্ধরা শাখা) অনুষ্ঠিত হয় ‘প্রীতিলতা’র প্রিমিয়ার। সেখানে অংশ নেন ছবিটির নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ, অভিনেত্রী তিশা, অভিনেতা মনোজ প্রামাণিকসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিশা। জানালেন কী কারণে তিনি এই ছবিতে যুক্ত হয়েছিলেন। তার ভাষ্য, “প্রীতিলতাকে নিয়ে একটি সিনেমা হচ্ছে’- এই লাইনটিই যথেষ্ট একজন অভিনেত্রীর রাজি হওয়ার জন্য। আমাকে যখন বলা হয়েছে, ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ উপন্যাস অবলম্বনে একটি সিনেমা করতে চাচ্ছি, প্রীতিলতার বায়োপিক বানাতে চাচ্ছি, তখন আমার মাথায় আর দ্বিতীয় কিছু আসেনি। তাৎক্ষণিক বলে দিয়েছি, হ্যাঁ আমি অবশ্যই করবো। যতটুকু পরিশ্রম করতে হয়, করবো।”
‘প্রীতিলতা’র মতো চরিত্রে অভিনয় করা স্বপ্নের মতো বলে মনে করেন তিশা। তিনি বলেন, ‘এরকম চরিত্রে অভিনয় করা যেকোনও অভিনেত্রীর জন্যই স্বপ্নের ব্যাপার। সেই সঙ্গে বড় দায়িত্বও। কারণ অনেক কিছু মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। এটা তো একটা চ্যালেঞ্জ, চেষ্টাটুকু করেছি। সেলিনা হোসেনের বই পড়ে, দাদার (নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ) গবেষণার নথিগুলো পড়ে নিজের মধ্যে চরিত্রটি ধারণ করেছি।’
আরও পড়ুন: ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর আরেক স্বীকৃতি
প্রিমিয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রীতিলতার কতটুকু অবদান ছিলো, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সিনেমা দিয়ে সারাবিশ্ব জানবে আমাদের একজন প্রীতিলতা ছিলো। এমন একটি সিনেমা আমাদের তথা গোটা দেশবাসীকে উপহার দেয়ার জন্য এই সিনেমার কলাকুশলী, নির্মাতাসহ পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন। এই ইতিহাস জানাটা সবার জন্য অনেক জরুরি।’
ড. হাছান তার কৈশোরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রীতিলতা এবং চট্টগ্রামের বিপ্লবী আন্দোলনের বইপত্রগুলো আমি কৈশোরে পড়েছি এবং প্রীতিলতা, সূর্যসেন ও তার বিপ্লবী আন্দোলনের সমস্ত সদস্য যারা ছিলেন এবং তাদের কর্মকাণ্ড সবকিছুর ওপর আমার এমন অনুরাগ জন্মেছিল যে, সেই বয়সে স্বপ্ন দেখতাম- কিশোর বিপ্লবী হবো। সেই স্বপ্নের তাড়না থেকে পরবর্তীতে আমার ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনীতিতে যোগদান।’
এই সিনেমায় নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, কামরুজ্জামান তপু, ইন্দ্রাণী ঘটক, অমিত রঞ্জন দে, শুভ্র বিশ্বাস, ধর্ম রাজ প্রমুখ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন প্রদীপ ঘোষ।
]]>