Skip to content

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে | আন্তর্জাতিক

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক সেনা কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ও এ বি এম এইচ নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ঠাণ্ডা মাথায় বঙ্গবন্ধুকে তার নিজ বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে।

 

হত্যাকাণ্ডের পরপরই খুনিরা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে পরবর্তীতে তাদের কয়েকজনকে বিচারের আওতায় এনে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এখনও পাঁচজন বাকি আছে। তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এ বি এম এইচ নূর চৌধুরী।

 

বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী সামনে করে পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের প্রধান চক্রান্তকারী মেজর শরীফুল হক ডালিমের অবস্থান এখনও জানা যায়নি। তবে আমরা জানি, কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আর হত্যাকাণ্ডের আরেক চক্রান্তকারী নূর চৌধুরী রয়েছেন কানাডায়। খুনি রাশেদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’

 

আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস আজ

 

কানাডার একটি আইন রয়েছে যা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হওয়া কোনো ব্যক্তিকে তার নিজ দেশে প্রত্যর্পণ করার অনুমতি দেয় না। নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বাধা।

 

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা জাতির পিতা ও তার পরিবারের ১৭ সদস্যকে হত্যা করেছে। ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে এনে আমরা কানাডাকে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছি।’

 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আনিসুল হক আরও বলেন, ‘তারা আত্মস্বীকৃত খুনি এবং তাদের অপরাধের সপক্ষে সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।’ 

সেনাবাহিনীর মধ্যস্তরের কিছু সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেই জায়গায় একটি সামরিক সরকার বসাতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করে। অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারীদের নেতৃত্বে সেনাদের চারটি দল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ঢাকায় প্রবেশ করে। প্রথম দলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডির বাসভবনে প্রবেশ করে এবং তর্কাতর্কির পর এক পর্যায়ে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে এবং এরপর তার পরিবারের অন্যসব সদস্য ও কর্মচারীদের হত্যা করে।

 

অন্য দলগুলো সাভারে অবস্থিত রেডিও স্টেশন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন দখল করে এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র করে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ মনসুর আলী, সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয় এবং ঢাকা কারাগারে বন্দী করা হয়। পরে তাদেরকেও কারাগারে হত্যা করা হয়।

 

আরও পড়ুন: সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা /একদিনেই বদলে যায় পত্রিকার শিরোনাম

 

বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষনা করে বাংলাদেশ। আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা নিরলসভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি।’ দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ও বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

 

এর প্রায় ১০ বছর আগে বিচারে আরও পাঁচজন অপরাধী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।  

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *