Skip to content

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রকল্প | বাংলাদেশ

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রকল্প | বাংলাদেশ

<![CDATA[

প্লাস্টিকের দূষণ রোধ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রকল্প।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে রেডিসন ব্লুতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, সিটি করপোরেশন ও ইপসার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। ইউনিলিভার বলছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের এ পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন জলাবদ্ধতা ও কর্ণফুলী দূষণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এ প্রকল্প।

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেখা মিলবে পলিথিনের স্তর। এতে নাব্যতা হারানোর পাশাপাশি দূষণের কবলে হুমকির মুখে চট্টগ্রামের লাইফলাইনখ্যাত নদীটি। এছাড়া খাল ও নালা নর্দমায় জমে থাকা পলিথিনের কারণে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় বন্দর নগরী।

এমন বাস্তবতায় চট্টগ্রাম নগরীর প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বৃহস্পতিবার সকালে রেডিসন ব্লুতে সমঝোতা স্বারক হয় ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। এ সময় ৪ জন বর্জ্য রিসাইকিলিং ও সংগ্রহকারীর হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার।

ইউনিলিভার বলছে ব্যবসায়িক কোন উদ্দেশ্য নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে উন্নত বিশ্বের আদলে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি প্রকল্প। মেয়র বলছে জুলাই থেকে পলিথিন মুক্ত হবে চট্টগ্রাম।

আরও পড়ুন: পানি রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে বললেন এলজিআরডি মন্ত্রী

ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা চাই পরবর্তীতে অন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের দেখাদেখি তারাও এ কাজে এগিয়ে আসবে। তারাও প্লাস্টিকের দূষণ রোধে কাজ করবে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা পলিথিনের দূষণ রোধ ও ব্যবহার কমাতে কাজ করছি।’

এর আগে ইউনিলিভার ও ইপসা যৌথভাবে প্রশিক্ষিত সেবকের মাধ্যমে গত এক বছরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করে ৭ হাজার টন পলিথিন। যার ৮৪ শতাংশ বর্জ্য রিসাইকিলিং করে তৈরি করা হয় প্লাস্টিকের দানা।

ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘এরইমধ্যে আমরা ৪১টি ওয়ার্ড নিয়ে পাইলট প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছি। কিছুটা ফলও পেয়েছি।’

এদিকে দেশের নানা বড় বড় কোম্পানিগুলোকে এ মডেলে উৎসাহিত করে পলিথিন মুক্ত করতে কাজ করছে ইউনিলিভার।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *