Skip to content

বর্ষার আগে কুড়িগ্রামে ৩ নদীতে ভাঙন আতঙ্ক | বাংলাদেশ

বর্ষার আগে কুড়িগ্রামে ৩ নদীতে ভাঙন আতঙ্ক | বাংলাদেশ

<![CDATA[

কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে বর্ষার আগেই ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমোর ও ধরলা নদীতে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছর এক ইউনিয়নের ১৪০০ বেশি পরিবার নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছে।

ক্ষতির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ভাঙন রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রণয়নের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমোরের মিলনস্থলে নদী ভাঙন আতঙ্ক রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে রসুলপুর গ্রামের হাজারো মানুষের। শেষ সম্বল রক্ষা করতে নিদ্রাহীন তারা। একই ইউনিয়নের সরকারপাড়া দুই কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজমান। গত বছরে একই এলাকার ১৪০০ বেশি পরিবারের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে নদী।

এছাড়াও গত কয়েক মাসে জেলার বিখ্যাত মোল্লারহাটের অর্ধেক চলে ব্রহ্মপুত্রের পেটে। এখানেও ভাঙন তীব্র হয়েছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, এ গ্রামের অর্ধেক ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই। নদীতে বাঁধ দিলেও এ গ্রাম আর থাকবে না।

একই এলাকার মর্না বেগম জানান, বাড়ির দুটি ঘর ভেঙে নিয়ে অন্যের জায়গায় রেখেছি। বাকি ঘর দুটিও সরিয়ে নিয়ে যাবো। নদী বাড়ির কিনারে এসেছে। থাকার উপায় নাই।

ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হাটের বেশিরভাগ নদীতে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর জিওব্যাগ ফেলে অস্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে গেলে হাটটি থাকবে না। এজন্য স্থায়ী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান তারা।

ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরবতায় বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের তিন দিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমোরের ভাঙনে গত এক বছরে ১৪০০ বেশি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে গিয়েছি। কিন্তু কাজ হয় নাই। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিদ্যালয়ের পাকা ভবন ও ঘরবাড়ি, ফসলি জমি রক্ষায় আমি স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মোল্লারহাটের ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে জানিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বেগমগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকার সমীক্ষা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। এটা পাশ হলে প্রকল্প তৈরি করে কাজ করা হবে।

নদীবহুল কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি অভিন্ন নদ-নদী ছাড়াও প্রবাহিত হয়েছে আরও ২৮টি ছোট নদী ও খাল।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *