<![CDATA[
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ইনশা আল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না’। যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ১১ নভেম্বরের সমাবেশে বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে সব ধরনের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, সেই হবে তাদের মুখে ছাই পড়েছে। সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না’।
দুই বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবী জুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রমের (ইউএনডিপি) প্রধান আখিম স্টেইনার বলেছেন, বিশ্বের ৫৪টি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেও ব্যক্ত করেছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্য পণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় দাম বাড়ছে। পৃথিবী যেহেতু এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি, সেহেতু খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাদ্য সংকটের কথাটি সামনে আসে। দুর্ভিক্ষের প্রসঙ্গটি সম্প্রতি বাংলাদেশেও আলোচনায় এসেছে। বিষয়টিকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টাও আছে। খাদ্য এমন একটি অতি জরুরি দ্রব্য যা প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। খাদ্যের মতো এমন জরুরি জিনিস নিয়ে রাজনীতি হয় না, তা নয়। বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের আগাম আভাস যখন পাওয়া যাচ্ছে, তখন খাদ্য নিয়ে অপপ্রচার ও রাজনীতি থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক একাধিক বক্তৃতায় খাদ্য সংকটের ইঙ্গিত দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পর বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেননি যে, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবেই। বরং তিনি এটাই বলেছেন যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের আছে। তিনি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে বলেছেন। এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা। ব্যক্তিপর্যায়েও ব্যয় কমানোর পাশাপাশি সঞ্চয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি সঠিক কাজটিই করেছেন।
এটা ঠিক যে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হবেই। আমারা খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। চাল-গমসহ যা যা আমদানি করতে হয়, বিশ্বে তার উৎপাদন কমে গেলে আমরা তো সংকটে পড়তেই পারি। এর ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির চরম অবস্থা যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। প্রান্তিক মানুষ আরও প্রান্তিকীকরণের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে কোনো অবস্থায়ই স্বাভাবিক বলা যাবে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের উদাহরণ দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়। এমন প্রচারণার জবাবেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী পরে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না।
তিনটি কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিশ্বে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি সবাইকে তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ৬টি পরামর্শও দেন সরকারপ্রধান। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রিজার্ভ কমে যাওয়া, কোভিডপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনে উৎপাদন কমায় ২০২৩ সালে সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেন সংকট কাটাতে ছয়টি পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরামর্শগুলো হলো- খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদোগ নেয়া, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, খাদ্য মজুত ঠিক রাখা এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে স্বস্তি দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া।
আরও পড়ুন: বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার
বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য। সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন (৪৫০ কোটি) ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য সংস্থাটির প্রতিনিধিদল ১৫ দিন ধরে ঢাকায় বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ফিরে গেছে। এর মধ্যে গত ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমাপনী বৈঠক ও ৯ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধি দলটি। আলোচনার ফলে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে সমঝোতায় পৌঁছে বাংলাদেশ; যা অর্থনীতির চলমান চাপ সামলাতে সহায়তার পাশাপাশি বিদেশি অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে নিকট ভবিষ্যতে আরও অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগও তৈরি করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, পাঁচ দফা বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কারে জোর দিয়েছে আইএমএফ। মূলত ১৭টি শর্তকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে তারা। এ সময় তাৎক্ষণিক তিনটি শর্ত মানতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিছু শর্ত পর্যায়ক্রমে মানার কথাও জানানো হয়। তবে কয়েকটি শর্ত মানার বিষয়ে কোনো ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়নি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট কনসালটেন্ট ড. জাহিদ হোসেনের মতে, আইএমএফের সঙ্গে এ ধরনের ঋণচুক্তি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ থাকলে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মাথা খাটাবে না।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, যে কোনো দেশে আইএমএফের ঋণকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আইএমএফের ঋণ খুব দরকার ছিল। এ ঋণ একটি আস্থার সৃষ্টি করবে। এখন বিশ্বব্যাংক যে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চাচ্ছে, তা দ্রুত ছাড় করবে। এডিবি, জাইকা এগিয়ে আসবে। তখন সবাই তাদের সাপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসবে।
সরকারের সঙ্গে ঢাকায় দীর্ঘ আলোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতা সংস্থাটির এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দও মনে করছেন, বাংলাদেশ এ ঋণ পেলে তা বিদেশ থেকে আরো অর্থায়ন পাওয়া সহজ করবে। সফরের শেষদিন সংবাদ সম্মেলনে রাহুল আনন্দ বলেছেন, আমরা মনে করি, যেসব সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে এবং রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মতে, এ ঋণ দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। নতুন ঋণ পাওয়ার রাস্তা খুলে যাবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে ছিল। তাছাড়া এই ঋণের সঙ্গে কিছু সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এসব সংস্কার বাংলাদেশের জন্য দরকার ছিল। সেগুলো এখন হবে। সেটা ভালো একটি দিক। তবে আইএমএফের সব শর্ত বাংলাদেশের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। দেখতে হবে আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থা। সেটার ভিত্তিতে আমরা তাদের শর্ত পালন করব। এই ঋণটি ২৬ সাল পর্যন্ত আসবে, সুতরাং সময় পাওয়া যাবে।
সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের স্বস্তি নিয়ে আসবে। যদিও অর্থের অঙ্কে এ ঋণ তেমন বড় কিছু নয়। তবে এ ঋণ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আইএমএফের ঋণ দেয়ার বিষয়ে সম্মত হওয়ার খবরের একধরনের বার্তা আছে। এটি বহুপক্ষীয় অন্য সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করবে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের বাজেট সহায়তা দিতে উৎসাহিত হবে। বাজেট সহায়তাও কিন্তু রিজার্ভে যোগ হয়, সেদিক থেকে এর গুরুত্ব আছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত ও আমাদের প্রত্যাশা
আইএমএফের ঋণ পাওয়াকে অর্থনীতিবিদরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও রাজনৈতিকভাবে যারা সরকারের বিরুদ্ধে, তারা এতে হতাশ হয়েছে হয়তো। কোনো ঘটনা সরকারের পক্ষে গেলে তাতে বিএনপির গা জ্বলে। কারণ বিএনপি তো এখন ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ছাড়া আর কিছুই দেখছে না। দেশের অর্থনীতি বেহাল হলে তাতে যে খুশি হওয়ার কিছু থাকে না, এটাও এখন বিএনপি ভুলে বসে আছে। তবে সরকারের জন্য আত্মতুষ্টির কিছু নেই। সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপের কারণে যে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে এটা মানতেই হবে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রায় প্রতিদিন কথা বলতে হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাফিয়ে লাফিয়ে ঋণ খেলাপি সংখ্যা বাড়া সরকারের জন্য ভালো নয়। মানুষের কল্যাণের কথা বলে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়ার নীতি থেকে সরকারকে সরে আসতেই হবে।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক সময় নিজেদের দাতা সংস্থা হিসেবে জাহির করতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাতা হওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অভিধা অত্যন্ত যৌক্তিক। কেননা, বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকে মালিকানা রয়েছে, প্রতিবছর চাঁদা দিয়ে সংস্থাটির তহবিল বৃদ্ধি করে থাকে। আর আইএমএফ বা অন্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণে অর্থ নিলেও আসলসহ বিপুল পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হয়। তারা তো দান করে না। সাধারণত এদের কাছে ঋণ চাইতে গেলেই নানা শর্ত নিয়ে চলে আলোচনা। কিন্তু আমাদের ভাবতে কষ্ট হয় এই ভেবে যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার কৃতিত্ব নিয়ে সরকার দেশব্যাপী যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলো গত জুন মাসে, তা কেন দ্রুত হাওয়ায় মিলিয়ে গেল? দেশে যদি সুশাসন থাকতো, যদি আর্থিক জবাবদিহি থাকতো, তাহলে এই সামান্য টাকার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে কাকুতিমিনতি করতে হতো না, দিতে হতো না এত কৈফিয়ত, মানতে হতো না অন্যায্য অনেক শর্ত।
আমরা আইএমএফের কাছে আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ঋণ চেয়েছি মাত্র ৪৫০ কোটি ডলার। তাও প্রায় ছয় মাস আগে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে। অথচ ১০ বছর ধরে প্রতিবছর এ দেশ থেকে গড়ে ৭০০ কোটি ডলার করে অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে। এই হিসাবে ৬ মাস আগে আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়ার পরও তো ৩৫০ কোটি ডলারের মতো অর্থ পাচারের হয়ে গেছে। তার মানে, লুটপাটের সংস্কৃতি বন্ধ করতে পারলে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে হতো না। আইএমএফ যত কঠিন শর্তের কথাই বলুক না কেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণ দিতে তারা সম্মত হয়েছে। কেননা ঋণ দেওয়ার জন্যই তো তারা বসে থাকে। তারা ঋণের মহাজন, সুদের কারবারি। আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংক টাকা দিলেই খুশিতে বগল না বাজিয়ে সরকারের উচিত হবে আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে দৃঢ়তা দেখানো। যদি বৈষম্য কমানোর পথে সরকার না হাঁটে তাহলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেলেও মানুষের জীবন থেকে সংকট কাটবে না।
]]>