<![CDATA[
অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আধিপত্য করছে ইংল্যান্ড। এক দিনের বেশি সময় ব্যাট করে ৯০.২ ওভার মোকাবিলায় ৩১৭ রান সংগ্রহ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের সে রান ইংলিশরা ‘বাজবল’ আদলে খেলে টপকে গেছে ৫৪.৩ ওভারে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৬৭ রানের লিড ইংল্যান্ডের। মাত্র ৭২ ওভার মোকাবিলায় ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৮৪ রান। ক্রিজে ২৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন বেন স্টোকস। ১৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন হ্যারি ব্রুক।
প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৯৯ রান। দ্বিতীয় দিন দলের খাতায় আর ১৮ রান যোগ হতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে অজিরা। দলের হয়ে মার্নাস লাবুশেন ও মিচেল মার্শ হাফসেঞ্চুরি করেন। এছাড়া ৪৮ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। ৪১ রান করেছেন স্টিভ স্মিথ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাজবল স্টাইলে ক্রলির সেঞ্চুরি
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস সবচেয়ে সফল বোলার। ২.৭৭ ইকোনমি রেটে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া ২ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন, মার্ক উড এবং মঈন আলি।
ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বেন ডাকেটের উইকেট হারায়। মিচেল স্টার্কের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন এ ওপেনার। এরপর অবশ্য অজি বোলারদের আর পাত্তাই দেয়নি ইংলিশরা। মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার জ্যাক ক্রলি দ্বিতীয় উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন। মঈন ৮২ বলে ৭ চারের মারে ৫৪ করে আউট হন। তবে ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান ক্রলি।
আরও পড়ুন: ধর্মের কারণে ১৮ বছরেই ক্রিকেট ছাড়লেন আয়েশা
তাকে সঙ্গ দিতে নামেন জো রুট। দুজন মিলে গড়েন ২০৬ রানের জুটি। দলকে লিড এনে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্রলি। ১৮২ বলে ২১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৮৯ রান করে থামেন তিনি। তাকে বোল্ড করেন ক্যামেরন গ্রিন। রুট আউট হন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে। ৯৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ রান করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন এবং জোশ হ্যাজেলউড।
]]>