<![CDATA[
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মানসিকভাবে অসুস্থ না হলে সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে পারতেন না। তাই তিনিসহ বাফুফের সব কর্মকর্তার ডোপ টেস্ট করার দাবি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত পরশু দুদকে আমি বাফুফের দুর্নীতি নিয়ে আবেদন দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে হাইকোর্টে যাবো। মৃত্যু ব্যতিত ফুটবলের গণজাগরণ না আসা পর্যন্ত আমি মাঠ ছাড়বো না।
উত্তরের জেলা বগুড়ায় এসে প্রীতি ফুটবল খেলায় অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল করুণাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও বগুড়া জেলা একাদশ অংশ নেয়।
তার এ ফুটবল ম্যাচ দেখতে ৩০ টাকায় টিকেট কেটে মাঠে হাজির হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। খেলা দেখতে আসা দর্শকরা অবস্থান নেন মাঠের আশপাশের ভবন, টিনের চাল ও উঁচু গাছে।
আরও পড়ুন: তিনজনের ধার ১৬ লাখ টাকা, সালাউদ্দিনের মাত্র ৩৫ হাজার
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন খেলা শেষে তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘এই প্রথম বগুড়ায় খেলার জন্য এসেছি। এখানে কাউকে হারানোর জন্য আমরা আসিনি। এসেছি বগুড়া মানুষের সাথে হবিগঞ্জের মানুষের আত্মার সম্পর্ক তৈরি করতে। বগুড়া মানুষের আতিথেয়তায় আমরা সবাই মুগ্ধ। বগুড়ার দই যেমন বিখ্যাত, বগুড়া মানুষের হৃদয় তেমনি বিশাল। ফুটবলের নতুন গণজাগরণ সবাইকে নিয়ে তৈরি করতেই বগুড়াতে আসা।’
এ সময় বগুড়ার মানুষ দেশকে নেতৃত্ব দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহাস্থানগড়েও গিয়েছিলাম। এই মহাস্থানগড়ই প্রামণ দেয় বগুড়া কত হাজার বছর আগে থেকে এই অঞ্চল ও দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। মহাস্থনগড় যাদের আছে, সেই বগুড়ার মানুষই এই দেশকে নেতৃত্ব দিবে।’
৯০ মিনিটের খেলায় প্রথম ভাগে বগুড়া একাদশের জর্জ গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়। পরে দ্বিতীয় ভাগে ব্যারিস্টার সুমনে গোলে সমতায় ফেরে অতিথিরা। খেলা শেষে ১-১ গোলে ড্র হয় এই প্রীতি ম্যাচ।
বগুড়ার এই প্রীতি ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাবতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন। সভাপতিত্ব করেন কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন।
]]>