<![CDATA[
বিয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় হঠাৎ ক্যান্সারে আক্রান্তের খবর। দরিদ্র মা-বাবার কষ্ট বাড়াতে না চেয়ে পরিবারের কাছে চিঠি লিখে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমাইয়া আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার বুড়িচং উপজেলার ডুবাইরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের ডুবাইরচর গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে সুমাইয়া। তিন মাস আগে পরিবারের সম্মতিতে ঢাকার সবুজবাগ থানার নাছির উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সংসারে কাটে প্রায় ৩ মাস। গত ১০-১২ দিন আগে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। এ সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে কুমিল্লায় চিকিৎসকের কাছে এসে পরীক্ষার পর জানতে পারে মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপরই সে রিপোর্টগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ব্যথা সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মা সানু বেগমের সঙ্গে পারিবারিক কাজ করে বিশ্রামের কথা বলে একটি রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। দুপুর আনুমানিক ২টায় তার ছোটবোন রুমে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়াকে দেখে পরিবারের সদস্যদের জানালে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাবা-মা ও পরিবারের উদ্দেশে সুমাইয়ার লেখা চিঠি উদ্ধার করেছে। সেখানে তার ক্যান্সারে আক্রান্তের খবরসহ বাবা-মার কাছে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার টাকা স্বল্পতার কথা লেখা ছিল। মাকে লিখেছে, তার শাশুড়ির দেয়া জিনিসপত্র ফিরিয়ে দিতে, তার নিজের জিনিসপত্রগুলো চেয়ে নিতে। ভাই সায়মন ও বোন জান্নাতকে লিখেছে, মায়ের সঙ্গে জোর গলায় কথা না বলতে। আর বাবাকে লিখেছে, আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। একইসঙ্গে লিখেছে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।
]]>