Skip to content

বাহারি নামে ইসির নিবন্ধন চেয়েছে ১০০ সংগঠন | বাংলাদেশ

বাহারি নামে ইসির নিবন্ধন চেয়েছে ১০০ সংগঠন | বাংলাদেশ

<![CDATA[

মুশকিল লীগ, নাকফুল বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ বেকার সমাজ এমন বাহারি নামে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন চেয়েছে প্রায় ১০০ সংগঠন। এই সংগঠনগুলোর বেশির ভাগই নামসর্বস্ব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ দিয়েছে বাসা বাড়ির ঠিকানা, কিংবা ভুয়া ঠিকানা। নির্বাচন কমিশন বলছে, যাচাই-বাছাই করে সব শর্ত পূরণ করতে পারবে এমন দলকেই নিবন্ধন দেয়া হবে।

এবারের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়ার শেষদিনে যেন হিড়িক পড়ে নিবন্ধন ফরম জমার। দিন শেষে নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯৮টি দলে।

নিবন্ধনের অন্যতম শর্ত ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যলায় থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে এসব দলের কি অবস্থা। সেই খোঁজ নিতে রাজধানীর ক্রিসেন্ট রোডে বাংলাদেশ বেকার সমাজের (বাবেস) অফিসের সন্ধানে যায় সময় সংবাদ। প্রথমে এটি অফিস নয় বলে দাবি করা হলেও পরে জানানো হয় এখানেই একটি রুম ভাড়া করে বেবাসের কার্যালয়।

পরের সন্ধান কাঁটাবনে বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। অনেক খুঁজেও এই নামে কিছু না পেয়ে দলের চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে জানা গেল অন্য নামে এর আগে নিবন্ধন না পেয়ে নতুন নামে আবার আবেদন করেছেন তারা। ব্যস্ততায় সুযোগ হয়নি দলের ব্যানার তৈরির।

বাংলাদেশ জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির একজন বলেন, ২০১৫ সালে কর্মসংস্থান আন্দোলন গঠন করেছিলাম। এটা আদালতে বিচারাধীন আছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নামে আমরা নতুন একটা দল গঠন করে আমরা আবার কমিটি করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি।  

আরও পড়ুন: শর্তপূরণ না হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন মিলবে না: ইসি আলমগীর

এরপরের সন্ধান পরীবাগে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের অফিসে, তবে সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয় হতে পারে না তা এক দেখাতেই বোঝা যাবে।

৯৮টি দলের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করেছে একাধিক দল। বাংলাদেশ বেকার সমাজ, মুশকিল লীগ, নাকফুল বাংলাদেশ, বৈরাবৈরী পার্টি, জস্বার্থে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, ইনভারমেন্ট গ্রিন পার্টি, গরীব পার্টি, বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টি, ইত্যাদি পার্টি এমন বাহারি নামের দল আবেদন করেছে নিবন্ধনের জন্য।

এর পাশপাশি ভিন্ন নামে নিবন্ধন নেয়ার জন্য জামায়েতের শীর্ষ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা আছে এমন বেশ কিছু দল জমা দিয়েছে নিবন্ধনের আবেদন। এ ছাড়া শেষ দিন বড় শোডাউন করে জমা দেয় সম্প্রতি জামায়াতের পক্ষে বক্তব্য দেয়া সাবেক ভিপি নূরের গণ অধিকার পরিষদ। আবেদন জমা দিয়েছে নাগরিক ঐক্য।

তবে কমিশনের সাফ কথা শতভাগ শর্ত পূরণ না হলে মিলবে না নিবন্ধন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সব শর্তপূরণ করল কি না, সেটা আমাদের দেখতে হবে। যদি একটি শর্ত অপূরণ থাকে তাহলে তাকে নিবন্ধন দেয়া হবে না।

সবশেষ ২০১৮ সালে ৭৬টি দল আবেদন করলেও প্রথমে কাউকেই নিবন্ধন দেয়নি কমিশন। পরে আদালতের রায়ে নিবন্ধন পায় দুটি দল।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *