<![CDATA[
ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে তরুণ নাহেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি থামছেই না। শুক্রবার (৩০ জুন) দেশজুড়ে আরও দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, শুক্রবার দিনে ও সন্ধ্যায় দেশজুড়ে মোট ২৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মার্সেই শহর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৮০ জনকে।
বিক্ষোভ, সহিংসতা মোকাবিলায় এরই মধ্যে ফ্রান্সজুড়ে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
প্যারিস ও এর আশেপাশে রাত ৯টার পর গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের কনসার্ট।
আরও পড়ুন: অভিভাবকদের প্রতি যে আহ্বান জানালেন ম্যাক্রোঁ
বিক্ষোভের মধ্যেই লিয়ন এবং গ্রেনোবল শহরের বিভিন্ন দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ভূমিকা না নেয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে চলমান এই বিক্ষোভ থামাতে অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার এবং সন্তানদের ঘরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার (৩০ জুন) প্যারিসে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘যারা বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে, তাদের অধিকাংশই বয়সে একেবারে তরুণ। অনেকেই এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি।’
তিনি বলেন, সন্তানদের খোঁজখবর রাখা বাবা-মায়ের দায়িত্ব, রাষ্ট্রের নয়। আমি ফ্রান্সের অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: প্যারিসে নিহত কিশোরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই পুলিশ
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগমাধ্যম দায়ী করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে প্যারিসের পশ্চিমে ন্যান্টা এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ১৭ বছর বয়সি কিশোর নায়েল এমকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। খবরে বলা হয়েছে, সড়কে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় গত চার দিনে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ২০০ এর বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
]]>