<![CDATA[
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সকল স্তরের সৈনিকদের ফায়ারিংয়ের মানোন্নয়ন তথা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবির সেক্টর সদর দফতর, কুমিল্লার ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উপভোগ করেন এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিজিবির উত্তর-পূর্ব রিজিয়ন, সরাইলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুমিল্লা সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় গত ৩০ অক্টোবর বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রতিযোগিতায় বিজিবির ৫টি রিজিয়ন ও ২টি স্বতন্ত্র সেক্টর থেকে আগত মোট ৭টি দলের সর্বমোট ৮৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম রিজিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং সরাইল রিজিয়ন রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এ ছাড়া ফায়ারিংয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে সরাইল রিজিয়নের কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের নম্বর-১০৮২৮৯ সিপাহি মো. ঈশা ইবনে লেমন প্রথম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং একই ব্যাটালিয়নের নম্বর-৮৫০৫১ লে. না. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হয়।
সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই বিজিবি মহাপরিচালক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ বাহিনী কালের পরিক্রমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একজন প্রশিক্ষিত সৈনিকের বন্ধু হচ্ছে তার ব্যক্তিগত অস্ত্র। কাজেই এই অস্ত্রের ওপর তার পারদর্শিতা থাকতে হবে। দেশপ্রেম এবং মনোবল নিয়ে প্রতিটি বিজিবি সদস্য দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকে। আর এই প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হচ্ছে পেশাগতভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। পেশাগত উৎকর্ষের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং ফায়ারিংয়ে দক্ষতা অর্জন।
বিজিবি মহাপরিচালক ফায়ারিংয়ে অংশগ্রহণকারী সব সদস্যকে অভিনন্দন জানান। বিশেষ করে অংশগ্রহণকারী অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ সৈনিক এবং নারী সৈনিকদের তিনি বিশেষ সাধুবাদ জানান।
তিনি প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক নিজেই ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে নিপুণ লক্ষ্যভেদ করে অস্ত্র চালনার ব্যাপারে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বিজিবি সদর দফতর, সরাইল রিজিয়ন, কুমিল্লা সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সব স্তরের বিজিবি সদস্য এবং বিভিন্ন রিজিয়ন ও সেক্টর থেকে আগত ফায়ারিং প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শেষে বিজিবি মহাপরিচালক কুমিল্লা সেক্টর সংলগ্ন স্থানে অ্যাডহক ‘বর্ডার গার্ড স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স’ উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাহিনীতে এ ধরনের একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংযোজন বাহিনীর গোয়েন্দা কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সার্বিক সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভবিষ্যতে এই অ্যাডহক স্কুলকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
]]>