Skip to content

বিবিসি সাংবাদিককে গ্রেফতার করায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব যুক্তরাজ্যের | আন্তর্জাতিক

বিবিসি সাংবাদিককে গ্রেফতার করায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব যুক্তরাজ্যের | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

কোভিডের প্রতিবাদের সংবাদ সংগ্রহকারী বিবিসি সাংবাদিককে গ্রেফতার ও নির্যাতনের কারণে ব্রিটেন মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) লন্ডনে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

সাংহাইয়ে এড লরেন্সের সাথে জড়িত ঘটনার পর ঝেং জেগুয়াংকে পররাষ্ট্র দফতরে ডাকা হয়। চীনা দূতকে তলব করে এই ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেন।

জেগুয়াংকে তলব করা হয়েছে নিশ্চিত করে ক্লিভারলি রোমানিয়ায় ন্যাটোর একটি বৈঠকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা করি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি যুক্তরাজ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কোনো রকম হুমকির ভয় ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ ঘটনাকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। চীন সরকার বলছে, সাংবাদিক লরেন্স নিজ থেকে তার সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র দেখাননি।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা লরেন্সকে ধরে মাটিতে চেপে ধরছে। বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে মারধর করেছে, লাথিও দিয়েছে এবং হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে গেছে।

একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণকে ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে বিবিসি।

আরও পড়ুন: সংঘর্ষ-ধরপাকড়ের খবর নেই চীনা সংবাদমাধ্যমে

কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের চিত্রগ্রহণের সময় গত রোববার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে পুলিশ লরেন্সকে গ্রেফতারের ঘটনাটি ছিল সাম্প্রতিক দিনগুলিতে চীনকে কাঁপানো অনেকগুলি ঘটনার একটি। বিবিসি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ তাকে লাঞ্ছিত করেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিক্ষোভ দমনে চীনের আচরণের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, চীনা সরকার নিজেদের জনগণের কথা শোনার বদলে তাদের ওপর আরও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।

এছাড়া চীনে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের দমন-পীড়নের খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি। চলমান বিক্ষোভ কিংবা আটকের খবর প্রকাশ হতে দেখা যায়নি চীনের মূলধারার তেমন কোনো সংবাদমাধ্যমে।

আরও পড়ুন: চীনে বিক্ষোভ: বাড়ছে সহিংসতা, নিরাপত্তা জোরদার

চীনে চলমান এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে চীনা দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেন দেশটিতে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা। অবিলম্বে চীনে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানান তারা। বিক্ষোভে যোগ দিতে দেখা গেছে স্থানীয়দেরও। এছাড়াও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। চীনের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন দেশটিতে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা।

সম্প্রতি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত শহর উরুমকিতে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনার জন্যও করোনার বিধিনিষেধকে দায়ী করেন স্থানীয়রা। মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *