Skip to content

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী সাঁতার প্রতিযোগিতা | বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যবাহী সাঁতার প্রতিযোগিতা | বাংলাদেশ

<![CDATA[

বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বর্ষার পড়ন্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী গ্রামে অনুষ্ঠিত হল ঈদ পরবর্তী সাঁতার প্রতিযোগিতা। এতে প্রতিযোগীসহ বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। করতালি দিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেন দর্শকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে চলছে ঈদ উৎসবের আমেজ। এর মধ্যেই বর্ষার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের প্রত্যন্ত পল্লী বুধন্তী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার সাঁতার প্রতিযোগিতা। প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রামের ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদ এই সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন দেখে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন দর্শকেরা। এমন আয়োজন যেন নিয়মিত করা হয় দাবি তাদের।

প্রতিযোগিতা দেখতে আসা খোকন উদ্দিন নামে এক দর্শক বলেন, এই প্রতিযোগিতা দেখে আমাদের খুব ভাল লাগছে। অনেক মানুষ হয়েছে আমাদের কাছে দেখে আনন্দ লাগছে। আমরা চাই যেন প্রতিবছর এমন খেলার আয়োজন করা হয়।

নিপা রানী বিশ্বাস নামে আরেক দর্শক বলেন, এটি গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা। আমাদের গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের কাছেও খুব ভাল লাগছে। এমন আয়োজন করা হলে সবাই দেখতে আগ্রহী হবে। আমাদের এখানে এসে সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখে খুব ভাল লাগছে। আমরাও চাই যেন বারবার এমন আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শেখ রাসেল ১৯তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা

প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া মোস্তাক মিয়া বলেন, আজকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। আমরা চাই যেন এই আয়োজন প্রতিবছর করা হয়। তাহলে আমরাও অংশগ্রহণ করতে পারবো। আমাদের দেখে আরও মানুষও আগ্রহী হবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছরও আয়োজন করেছিলাম। এ বছরও আয়োজন করেছি। আমরা আগামীতে এই আয়োজন অব্যাহত রাখব।

তিনি আরও জানান, সাঁতার প্রতিযোগিতা যুব সমাজকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে রাখে। সেদিক থেকে তাদেরকে ফেরানোর জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করার জন্যে। সেজন্যই আমরা এই আয়োজন করেছি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ভূঁইয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাই, আমাদেরকে যেন সরকারিভাবেও সহযোগিতা করা হয়। তাহলে মানুষ আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। মূলত ঈদের আনন্দ হিসেবেই আমরা এমন আয়োজন করেছি। আগামীতেও আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।

 

প্রতিযোগিতায় মোট ১০টি ইভেন্টে অন্তত শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম আহমেদসহ অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *