<![CDATA[
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতলে ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে ইনজুরিতে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। অন্যদিকে, ভুটানকে এক ডজন গোল দেয়া প্রতিবেশী দেশটি আছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায়।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা না পেরোতেই কমলাপুরে আবারও হাজির বাংলার জয়িতারা। নেপাল ম্যাচের ধকল এখনও না কাটায় হালকা স্ট্রেচিং, রানিং আর রিকভারি সেশন করেই কাটে স্বাগতিকদের সকাল। সামনে আসরের অন্যতম ফেবারিট ভারত বাধা। অঘোষিত সেমিফাইনালে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রকে মিস করতে যাচ্ছেন কোচ।
গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘শামসুন্নাহারকে তো আপনারা দেখলেন সে মাঠে এসেছে। অনুশীলনও করেছে। কোনো সমস্যা নেই তার এখন।’
আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে সাফ মিশন শুরু বাংলাদেশের
সাফে বরাবরই বাংলাদেশের জন্য বড় প্রতিপক্ষ ভারত। তার ওপর এই দলটার অনেক ফুটবলার খেলেছে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপে। ভুটানকে এক ডজন গোল দেয়া প্রতিবেশী দেশটি শক্তিমত্তায় কতটা এগিয়ে তার প্রমাণ মিলেছে প্রথম ম্যাচেই। হ্যাটট্রিক করেছেন দলের তিনজন। ম্যাচটা কঠিন। তবে ঘরের মাঠে ভালো খেলতে প্রত্যয়ী আফেইদা-রিপারা।
শাহেদা আক্তার রিপা বলেন, ‘আগে খেলে এসেছি বলে তাদের সম্পর্কে ধারণা আছে আমাদের। তো আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামবো। তবে আমরাও যেমন শক্তিশালী, তারাও শক্তিশালী।’
এদিকে অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার আফেইদা খন্দকার বলেন, ‘সিনিয়ররা যেভাবে অনুশীলন করে আমরাও সেভাবে অনুশীলন করেছি। উনারাও রেজাল্ট বের করে দেখিয়েছে, তো আমরাও চেষ্টা করব ভালো একটা ফল বের করতে।’
সবশেষ ২০২১ এর ডিসেম্বরে এই মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি আছে মেয়েদের। তবে লিগ পদ্ধতিতে হওয়া এবারের নারী সাফে ভারতের কাছে হেরে গেলে যে কঠিন হবে ফাইনাল খেলা। সেই মানসিক বাধা কাটানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
]]>