Skip to content

মনপুরায় বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত ব্যবসা-বাণিজ্য | বাণিজ্য

মনপুরায় বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত ব্যবসা-বাণিজ্য | বাণিজ্য

<![CDATA[

শীতের মধ্যেও চরম বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছেন ভোলার বিছিন্ন উপজেলা মনপুরার ৯ শতাধিক গ্রাহক। দীর্ঘদিন ধরে এসব গ্রাহক রাতে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বর্তমানে ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।

এ সংকট দূর করে উপজেলা সদরকে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের আওতায় আনার দাবি স্থানীয় মানুষের। আর যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

মনপুরায় সঞ্চালন লাইন ও গ্রাহক বাড়ানো হলেও বাড়েনি উৎপাদন। জোড়াতালি দিয়ে কোনো মতে চালানো হচ্ছে পুরাতন মেশিনগুলো। এ ছাড়া মনপুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ইঞ্জিন চালক, ক্যাশিয়ার, লাইনম্যানসহ ৫টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে লাইনম্যানের সাহায্যকারী দিয়ে ইঞ্জিন চালানো হচ্ছে। নেই যথাযথ তদারকি ব্যবস্থাও।

আরও পড়ুন: গ্যাস নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বিজিএমইএর চিঠি

এদিকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাড়ে ৩শ’ বাণিজ্যিক গ্রাহক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ২০ জানুয়ারি উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি নেজাম উদ্দিন জানান, জেলে অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় এখানে রাতে কেনাকাটা হয়। তবে বিদ্যুতের অভাবে দোকান বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। এতে গুনতে হচ্ছে লোকসান।

মনপুরার হাজিরহাটে স্থাপিত ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এই উপকেন্দ্র  থেকে উপজেলা সদরের ৬ কিলোমিটার এলাকার ৯শ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ৮ ঘণ্টা সরবরাহ করা হয় গ্রাহকদের। যার  সর্বোচ্চ চাহিদা ১ মেগাওয়াট। এর জন্য উপকেন্দ্রে ৫০০ কেভি ২টা, ৬৩০ কেভি ১টা ও ১ মেগাওয়াটের একটা জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে।

কাগজপত্রে ৪টি জেনারেটরে দেড় মেগাওয়াটের বেশি ক্ষমতা দেখানো হয়েছে। তবে বাস্তবে উৎপাদন হচ্ছে না এর অর্ধেকও। এদিকে এক মাস আগে ৬৩০ কেভি জেনারেটরের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করে সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

তবে ঘোষণার পর ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে চরম সংকটে পড়ে সাধারণ গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: জাপানি শিল্পোদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের আহ্বান

সংকট দূর করে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতা লোকমান মিয়া বলেন, বিভিন্ন চরাঞ্চলে জাতীয় গ্রিড থেকে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ এখানে বিদ্যুৎ থাকে মাত্র ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা।

তবে মনপুরার মানুষ চরম বিদ্যুৎ সংকটে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে অফিসে আসেন না আবাসিক প্রকৌশলী মো. আ. সালাম। অফিসে একজন হেলপার ও চুক্তিভিত্তিক ক্যাশিয়ার ছাড়া কেউ থাকে না।

হাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আবাসিক প্রকৌশলী অফিস করেন না। মাঝেমধ্যে আসেন। এ ছাড়া কোনো সমস্যায় প্রকৌশলীকে পাওয়া যায় না বলে জানান তারা।

তবে মোবাইলে আ. সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ত্রুটি দেখা দেয়ায় মেশিনটি মেরামতের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। মেরামত করে চালু করতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। এ ছাড়া অফিসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ইজতেমার জন্য তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *