<![CDATA[
মাকে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে এক বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চার সন্তান।
জেলার সিরাজদিখানের পশ্চিম পাউসার গ্রামের মমিনুল ইসলামের (৬০) রায় কার্যকর হলে তার চার সন্তানই এতে সন্তুষ্টিমূলক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, মাকে হত্যার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ছেলে শামীম শেখ, মেয়ে আলপনা আক্তার মলি ও লাকী আক্তার বৃষ্টি। সৌদিতে থাকা ফারজানা আক্তার মৌ সাক্ষ্য দিতে পারেননি।
মেয়ে আলপনা আক্তার মলি জানান, তার সব ভাইবোনই এই রায়ে খুশি। কারণ তার মাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তার ক্ষমা হতে পারে না।
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মমিনুল ইসলামকে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত মমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে আদালতটির বিচারক মোতাহারাত আখতার ভূঁইয়া দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে ২ গ্রামের সড়ক বিলীন
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পশ্চিম পাউসার গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গভীর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের মাথায় শাবল দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে স্বামী মমিনুল। এরপর ঘরে তালাবদ্ধ রেখে স্বামী মমিনুল পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে মমিনুল ফোনে তার মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী জিয়াসমিন বেগমকে ঘটনা জানায়। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাহনাজ পারভীনকে মৃত ঘোষণা করে। পরে নিহতের ভাই সুলতান বেপারী বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। স্থানীয় কুচিয়ামোড়া থেকে ২৯ এপ্রিল ঘাতক স্বামী মমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সরকারি অতিরিক্ত কৌঁসুলি অজয় চক্রবর্তী জানান, স্বামী মমিনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই দণ্ডাদেশ দেয়।
]]>