<![CDATA[
মালয়েশিয়ায় মানবপাচার মামলায় চার থাই নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) তাদেরকে আদালতে তুলে অভিযোগ শুনানি করা হয়।
এখন থেকে আট বছর আগে ২০১৫ সালে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তে গণকবর ও মানবপাচারের জন্য তৈরি ক্যাম্প খুঁজে পায় পুলিশ। সে সময় এই চারজনকে আটক করা হয়।
স্টার পত্রিকার বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, অভিযুক্ত চার থাই নাগরিককে শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পেরলিসের কাঙ্গারের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের এক দোভাষী তাদেরকে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় জেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ বেলাই নামে দুই মিয়ানমার নাগরিক পাচারের সাথে তারা জড়িত ছিলেন।
২০১৫ সালের এপ্রিলে ওয়াং কেলিয়ান শহরের কাছে প্রথম গণকবর আবিস্কার করা হয়। সেখানে ৩০টি মরদেহ পাওয়া যায়। তার পাশেই ছিল পাচারকারীদের অস্থায়ী ক্যাম্প। এরপর অনেক অনুসন্ধানের পর সেখানে আরও বেশ কয়েকটি কবর পাওয়া যায়। যেখানে মিয়ানমার থেকে আসা অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীরও মরদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সু চির মুক্তির দাবি জানালেন ছেলে আরিস
২০১৭ সালে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া অস্থায়ী শিবিরগুলোতে একটি যৌথ অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের পাচার ও মৃত্যুর ঘটনায় ৯ সরকারি কর্মকর্তাসহ ৬২ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে থাইল্যান্ড।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইল জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গেকার থাইল্যান্ড সীমান্তে ২০১৫ সালে গণকবর আবিষ্কার এবং মানব পাচার শিবির চালানোর অভিযোগে ৪ থাই নাগরিকদেরকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ সপ্তাহে থাইল্যান্ড থেকে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল এবং মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের গভীর জঙ্গলে মানব পাচারকারীদের বড় আস্তানা আছে। তারা নৌকায় করে মানুষজনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিয়ে যায়। পাচারকারীরা ওই সময় হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সাগরে ছেড়ে দেয়। বেশিরভাগই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানিরা কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছে?
সীমান্তের থাই অংশে মানব পাচারকারীদের শিবির এবং গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ মানব পাচারকারীদের দমনাভিযান শুরু করেছিল।
২০১৫ সালে আবিষ্কার হওয়া মানবপাচারকারীদের শিবির নিয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া দুই দেশেরই তদন্ত চলার পর এই পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। তবে কী ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি হবেন তা জানা যায়নি।
]]>