<![CDATA[
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে বদলে গেছে বাগেরহাটে আশ্রয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। যেখানে জমি কেনা দুঃস্বপ্ন ছিল, সেখানে বিনামূল্যে ২ শতাংশ জমিসহ বসতঘর পেয়েছেন তারা। ঘরের সামনের খোলা জায়গায় সবজি বাগান আর গবাদি পশু পালন করছেন অনেকে। স্বস্তিকর জীবন পেয়ে খুশি এসব ছিন্নমূল মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ যেন সাজানো গোছানো ছোট্ট একটি গ্রাম। মাত্র আট মাস আগে বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠে ৬৫টি বসতঘর।
এরপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঘরের সামনে পতিত জমিতে শুরু হয় সবজি চাষ। প্রতিটি ঘরের সামনে প্রদর্শনী পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে। দেয়া হয় বিনামূল্যে সবজি বীজ ও সারসহ নানা কৃষি উপকরণ। উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি নিজেরা খাচ্ছেন আবার বাজারে বিক্রি করে অল্প সময়ে ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ায় দারুণ খুশি সুবিধাভোগীরা।
লাউপালা এলাকার সুবিধাভোগী হাজেরা খাতুন বলেন, ‘নিজের ঘর না থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী নতুন ঘর দিয়েছেন। বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, রান্নাঘর ও বাথরুমের সুবিধা রয়েছে। ঘরের সামনে কৃষি বিভাগের লোক সবজি বাগান তৈরি করে দেয়ায় নিজেদের উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি ও বাজারেও বিক্রি করছি। এখন অনেক সুখে আছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে ভাগ্যের চাকা
হীরা নামের আরেক সুবিধাভোগী বলেন, ‘জমি কেনা যেখানে দুঃস্বপ্ন ছিল, সেখানে বিনামূল্যে ২ শতাংশ জমিসহ বসতঘর পেয়েছি। ঘরের সামনেই ফুল-ফলের বাগান ও সবজির চাষ করছি। কখনও ভাবতে পারিনি নিজের একটা ঘর হবে। এখন আমাদের কষ্ট নেই। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘আশ্রয়ণ এলাকার ছিন্নমূল মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় লাউপালায় ৬৫টি পারিবারকে পুষ্টি বাগান তৈরি করে দেয়া হয়েছে। আশানুরূপ সবজির ফলন হয়েছে। নিজেরা খেয়ে বাজারেও বিক্রি করছে। আমাদের কর্মীরা সবসময় সবজি উৎপাদনে পরামর্শ ও সহায়তা করে আসছে। আরও নতুন ২৬টি পরিবারকে অনুরূপ বাগান তৈরি করে দেয়া হবে।’
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া সুবিধাভোগীরা যাতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাদারীপুরে বদলে গেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, সেটি বাস্তবায়ন হলে সমাজের সবশ্রেণির মানুষের মুখে হাসি থাকবে। সমাজের ছিন্নমূল মানুষসহ সবাইকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার।’
জেলায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৪৪টি বসত ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও ৭৮০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
]]>