জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে অপরাধীদের তাৎক্ষণিক বিচারের আওতায় আনা হবে। এদিকে পুরো পৌর এলাকা পোস্টারে ছেয়ে গেছে। ভোটারদের মন জয়ে প্রার্থীরা শেল মুহূর্তের প্রচারণা চালাচ্ছেন।
উপজেলা-জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ বললে এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা পৌঁছায় জনগণের কাছে, তাই আমরা গুরুত্বপূর্ণ বলি। ভোটার সংখ্যা, কেন্দ্রের ভৌগলিক অবস্থান এবং আগের ভোটের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বদর-উদ-দোজা ভূঁইয়া জানান, ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্ততি সম্পন্ন এখন। এ নির্বাচনে ২৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৫০ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০০ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি তাদের ট্রেনিং শেষে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে বুধবার (২৭ জানুয়ারি)। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যা পুলিশ কঠোরভাবে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে। ভোটাররা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, এ ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পৌরসভা নির্বাচনের জন্য চার শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি ৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ও ৮টি সাধারণ কেন্দ্র। সাধারণ কেন্দ্রে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে ৬ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম থাকবে। যেখানে একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ৭ জন পুলিশ সদস্য থাকবে। পাশাপাশি থাকবে স্ট্রাইকিং টিম। তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে পৌর এলাকাকে, যেখানে এ তিনটি টিম কাজ করবে। থাকবে স্ট্যান্ডবাই টিমও। তাছাড়া থানা ও ফাঁড়ির একাধিক টিমও কাজ করবে নির্বাচনের দিন।
তিনি বলেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইটি কেন্দ্র আছে যেখানে সাধারণ নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি মোবাইল টিমও অবস্থান করবে। বাড়তি নজড়দারির আওতায় থাকবে এ কেন্দ্রটি। দৃশ্যমান অবস্থান হিসাবে ৫, ৪, ৯ এই কেন্দ্র তিনটিতে থাকবে আলাদা নজর বলে জানান তিনি। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটতো থাকবেই।
র্যাব-১১ এর সাব ইন্সপেক্টর আফতাব জানান, র্যাবের তিনটি টহল মুন্সিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মাঠে থাকবে। এসব টিমে ৮জন করে মোট ২৪ জন র্যাব সদস্য থাকবে। ২৫ টি কেন্দ্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। তবে ৯টি কেন্দ্রে বিশেষ নজর থাকবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আছেন ৫ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৪০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৯ জন। আর ভোট দিবে ৫৩ হাজার ৩৭৪ জন ভোটার।