Skip to content

মেক্সিকোয় আন্দোলন দমাতে সেনাবাহিনীর গুলি, নিহত ৫ | আন্তর্জাতিক

মেক্সিকোয় আন্দোলন দমাতে সেনাবাহিনীর গুলি, নিহত ৫ | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি চালালে ৫ জন নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই স্থানীয় অধিবাসী যারা বিক্ষোভ দেখতে এসেছিলেন। খবর আল জাজিরার।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, সেনা সদস্যরা মেক্সিকোর ন্যুভো লারেদো শহরে আন্দোলনকারী বহনকারী একটি পিকআপ ট্রাককে ফাঁকা গুলি করে থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ট্রাকটি না থেকে চলতে থাকলে সেনারা ট্রাকটি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে ওই পাঁচজন নিহত হন। 

ন্যুভো লারেদোর মানবাধিকার কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনা সাধারণ জনগণ ও সৈন্যদের মধ্যেই একটি দ্বন্দ্বের তৈরি করেছে। যেখানে অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে, নিহতরা কেউই সশস্ত্র ছিল না। তাই এমন নৃসংশভাবে হাতে হত্যা করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, বুলেটবিদীর্ণ ট্রাকটির কাছে সাধারণ জনগণের সঙ্গে সৈন্যদের তুমুল ঝগড়া চলছে। যেখানে জনতা সেনাদের প্রতি ঘুষি ছুঁড়ছে, একজনকে মাটিতে ফেলে ক্রমাগত লাথি মেরে চলছে। পরে অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। তবে গুলি কোন পক্ষ করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

এদিকে, মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রাজধানী মেক্সিকো সিটির জোকালো স্কয়ারে জড়ো হয় কয়েক লাখ মানুষ। যদিও সরকার বলছে, বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা এক লাখও নয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি আইনপ্রণেতারা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করেছেন।

মূলত, মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের সরকারি প্রচেষ্টার বিরোধিতায় রাস্তায় নামেন তারা। জাতীয় নির্বাচনী ইনস্টিটিউট আইএনই’র রং গোলাপী পোশাক, ব্যানারে হাজির হন লাখ লাখ বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করছেন।

গত সপ্তাহে মেক্সিকোর আইনপ্রণেতারা জাতীয় নির্বাচনী ইনস্টিটিউটের বাজেট কমানো ও কর্মী কমানোর পক্ষে ভোট দেন। গত বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটের পর দেশটির সিনেট এ সংস্কারে অনুমোদন দেয়। এখন প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর স্বাক্ষর করলে সংস্কারগুলো কার্যকর হবে।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনী ইনস্টিটিউটের সমালোচনা করছেন ওব্রাদর। এ সংস্থা স্বাধীন ইনস্টিটিউট হলেও প্রেসিডেন্ট ওব্রাদর একে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তার বিরোধীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *