<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল। প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় ঝোড়ো হাওয়া; পথে পথে ধ্বংসযজ্ঞ। কক্সবাজার থেকে শাহপরীর দ্বীপ, সেখান থেকে সেন্টমার্টিন। ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ‘মোখা’। যার কবলে পড়ে সময় সংবাদও।
কয়েক দিন ধরে মুখিয়ে থাকা মোখায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর। দুপুরে পুরোদমে ঝড় শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে টেকনাফের উত্তাল সৈকতপারে টিম সময় সংবাদ। তখন জনমানবশূন্য টেকনাফের সমুদ্র সৈকত। এরই মধ্যে বইতে শুরু করে বাতাস, বেগ বাড়তে থাকার একপর্যায়ে সাগরতীরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট-দোকানপাট ভেঙে যায়।
বলা হচ্ছে, মোখার আঘাতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্টমার্টিন। তারপরই ক্ষতির শিকার টেকনাফ।
সময় সংবাদের টিম (প্রতিবেদকসহ দুজন চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলাম ও মোবারক হোসেন শুভ) যখন দেশের সর্ব-দক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের শাহপরীরের দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে, তার মধ্যেই পুরোপুরি মোখা তার আঘাত হানতে শুরু করে। উত্তাল সেই সাগরের ঢেউ আর বাতাসের তোড়ে তখন যান্ত্রিক যানও উড়ে যাওয়ার দশা! এর মধ্যেই সড়কে চলতে চলতে দেখা যায় গাছ ভেঙে পড়ার দৃশ্য।
অবশেষে সাগরতীরে দেখা মেলে একটি সরকারি ভবনের। সেখানে কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে অবশেষে আশ্রয় নেয়ার পালা। কিন্তু ভবনে ঢোকাই যেন কঠিন যুদ্ধ। ধুলিঝড়ে চারপাশ মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে যায়। সঙ্গে বাতাসের তোড়। তিনতলা শক্তপোক্ত ভবনটিও ঝড়ের তোড়ে যেন কেঁপে ওঠে দফায় দফায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জানালা-দরজা।
এ যাত্রায় আমরা রক্ষা পেলেও উপকূলের মানুষের কী দশা, তা অনুধাবন করা আপাতত সত্যিই কঠিন।
মানুষের পক্ষে দুর্যোগ ঠেকানো সম্ভব নয়; কিন্তু দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। আর সে জন্য সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই। যার বাস্তব প্রমাণ আমরাই।
]]>