Skip to content

‘মোশতাকের নির্দেশে জিয়ার সেনারা জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে’ | বাংলাদেশ

‘মোশতাকের নির্দেশে জিয়ার সেনারা জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে’ | বাংলাদেশ

<![CDATA[

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাকের অবৈধ সরকারে তৎকালীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ক্ষমতার দম্ভের কাছে মাথা নত করেন। কিন্তু জাতীয় চার নেতা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি। তাই তাদের জেলখানায় নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়।

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস ৩ নভেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর ও কলঙ্কময় দিন। সাতচল্লিশ বছর আগে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটি শোক আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

পোস্টের ক্যাপশনে জয় লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, জাতির ভাগ্যাকাশে নেমে আসে আরেকটি ভয়াল রাত। মোশতাকের সরাসরি নির্দেশে- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে হত্যার জন্য- ঘাতক পাঠায় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানে অনুগত সেনারা।’

আরও পড়ুন: অবৈধভাবে কেউ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

জয় আরও লেখেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধীরা চাইলেও জাতীয় চার নেতার অবদানকে মুছে ফেলা যায়নি। বরং তাদের মুখ আজও উদ্ভাসিত। এক বিশাল উত্তরাধিকার, ব্যাপ্ত দেশপ্রেম ও বিজয়ের মুকুট সঙ্গে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে পদচারণা শুরু হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যে যে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন হয়েছিল, আবার তা বোনা শুরু হয় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো স্রোতের দিকে টেনে নেয়া হয়।’

সবশেষে জাতীয় চার নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা।  

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *