<![CDATA[
কদিন পরেই শুরু হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিক্রির নিলাম প্রক্রিয়া। ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ক্লাব কিনতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আবেদন জমা দিতে হবে। এদিকে জনপ্রিয় ক্লাবটি কেনার দৌড়ে এগিয়ে আছে কাতারি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট। তবে, ক্লাবটি কিনতে তাদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে। ছাড়তে হতে পারে পিএসজির মালিকানা।
গেল কয়েক বছর ধরেই ইংলিশ ফুটবলে চলছে রদবদল। বিক্রি হয়েছে বেশ কিছু ফুটবল ক্লাবের মালিকানা। এছাড়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও বেশ কয়েকটির। যার মধ্যে অন্যতম হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নানা আলোচনা-সমালোচনা শেষে গেল বছর নভেম্বরে ক্লাব বিক্রির ঘোষণা দেয় ক্লাবটির মালিক গ্লেজার পরিবার। এরই মধ্যে ক্লাবটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে অনেকেই।
আরও পড়ুন: পিএসজির ড্রেসিংরুমের দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন নেইমার
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার দৌড়ে এগিয়ে আছে কাতারি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট – কিউএসআই। যে প্রতিষ্ঠানটি ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিরও মালিক। এছাড়া কিছুদিন আগে পর্তুগালের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ব্রাগার মালিকানার এক পঞ্চমাংশ কিনে নিয়েছে কাতারি প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নয়, ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড কেনার বিষয়েও আগ্রহ আছে প্রতিষ্ঠানটির। যদিও এবার তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পকেটে পুরতে চায়। আর তা নিয়েই আলোচনা এখন তুঙ্গে। তবে, ক্লাবটি কিনতে গিয়ে কিউএসআইকে কিছুটা বেগ পোহাতে হবে। এ জন্য উয়েফার নীতিমালার মারপ্যাচ খুলতে হবে তাদের।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ার শিশুদের জন্য সাহায্যের আহ্বান মেসির
নীতি অনুসারে, একটি মালিকপক্ষ কখনো ইউরোপের দুই শীর্ষস্থানীয় ক্লাবের মালিকানায় সিংহভাগ নিতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে কাতারি প্রতিষ্ঠানটিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনতে হলে ছাড়তে হবে পিএসজি অথবা পরিবর্তন আনতে হবে উয়েফার নীতিতে।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত ম্যানইউ কেনার দৌড়ে রয়েছেন ব্রিটেনের ধনকুবের ব্যবসায়ী স্যার র্যাট ক্লিফও।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিক্রির নিলাম প্রক্রিয়ার কার্যক্রম এখন শুরু হওয়ার অপেক্ষা। যারা কিনতে আগ্রহী তাদেরকে ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জানাতে হবে। আর সেদিনই শুরু হবে মালিকানা পরিবর্তনের নিলাম। বিক্রির চূড়ান্ত নিলাম প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে মার্চে।
]]>