<![CDATA[
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণে হতাশ সমর্থকরা। হার মেনে নিলেও সাকিব আল হাসানদের খেলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। বিশ্বকাপের ম্যাচ হলেও বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে ছিল না কোনো উত্তাপ। সাধারণ মানুষের মাঝে যেমন এই খেলা নিয়ে আগ্রহ কম ছিল, তেমনি টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতেও বড় প্রত্যাশার সুযোগ দেখছেন না তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহিরুল হক হল। বাংলাদেশের কোনো ম্যাচে যে হলের টিভি রুম পরিণত হয় ছোট্ট একটি স্টেডিয়ামে। ছাত্রদের ভিড়ে যেখানে জায়গা পাওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে বৃহস্পতিবারের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে লড়ছে দল, তবুও যেন অনেকটাই ফাঁকা টিভি রুম। হাতেগোনা ক’জন বাদে আগ্রহ নেই বাকিদের। টাইগারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সটাই যার মূল কারণ। ফলাফল মূখ্য নয়, এসব সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেটারদের খেলার ধরণ নিয়ে।
তারা বলছেন, প্রথম ম্যাচে জয়ের পর অনেক আশাবাদী ছিলাম। ভেবেছিলাম, বাংলাদেশ ভালো খেলবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও বাজে হয়েছে। খারাপ লাগে যে, আমারা আমাদের ভুলগুলো শোধরাতে পারি না। দর্শক হিসেবে টিভি রুমে খেলা দেখতে এসে আমদের বার বার হতাশ হয়ে ফিরতে হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদেরও ধরছে একই ভূতে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাইরেও ছিল একই চিত্র। বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ দেখা যায়নি তেমন কারও মাঝেই। দু’এক জায়গায় মানুষরা খেলা দেখলেও, হতাশা স্পষ্ট ছিল তাদের চোখে-মুখে।
এক দোকানি বলেন, আগে এখানে লোকজনের প্রচুর ভিড় থাকত। কাস্টমার ঢোকার জায়গা দিতে পারতাম না। কিন্তু এখন তো একেবারে ফাঁকা। লোকজন নেই বললেই চলে।
সমর্থকরা বলছেন, আগের ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে খেলাটা হলো, সেটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক একটা বিষয়। অনেক আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিলাম। কিন্তু টাইগাররা হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির সামর্থ্য আছে শান্ত-লিটনদের: সিডন্স
ক্রিকেট এ দেশের মানুষের উৎসবের উপলক্ষ্য, আবেগ-ভালোবাসার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা টাইগারদের নিয়ে দর্শকদের যেমন উন্মাদনা কমছে, তেমনি বাড়ছে হতাশা। যদিও বাজে সময় কাটিয়ে আবারও ছন্দে ফিরবে দল- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
]]>