Skip to content

রাজশাহী নগরীর ২৮টি স্থানে মিলছে এডিসের লার্ভা | বাংলাদেশ

রাজশাহী নগরীর ২৮টি স্থানে মিলছে এডিসের লার্ভা | বাংলাদেশ

<![CDATA[

রাজশাহী নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৭৫ বাড়ির মধ্যে ২৮ স্থানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল সাত দিন ধরে এ নমুনা সংগ্রহ করে এ লার্ভা পায়।

এর পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, জরিপ করা ৩০ ওয়ার্ডের বাড়ির আঙিনা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক, ফুলের টব ও আইসক্রিমের কৌটায় জমে থাকা পানি থেকে সংগ্রহ করা হয় লার্ভার নমুনা। পরীক্ষার ফলে উঠে আসে ৭৫টি বাড়ির মধ্যে ২৮ স্থানে রয়েছে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার লার্ভা।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, নগরীতে এডিস লার্ভার উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। যদিও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা থেকে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে চার জন  রাজশাহীর বাইরে ভ্রমণ না করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

রামেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. তানজিলুল বারী বলেন, প্রতিদিনই এখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতদিন রোগীদের ঢাকায় ভ্রমণ ইতিহাস থাকলেও এখন রাজশাহীতেই স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়া শুরু হয়েছে। নগরীতে এডিস মশার উপস্থিতি ও হাসপাতালে ধারাবাহিকভাবে রোগী বাড়তে থাকা উদ্বেগজনক।
 
আরও পড়ুন:  মাদারীপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, উদ্যোগ নেই মশা মারার

নগরীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) একটি চিঠি দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ। চিঠিতে তিনি জরুরি ভিত্তিতে সচেতনতা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু বলেন, জনসচেতনতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত জলাবদ্ধ স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে লার্ভা ধ্বংসের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে শনিবার (১৫ জুলাই) থেকে নগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কারও বাড়ি ও স্থাপনায় জমানো পানি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রামেক হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টার ডেঙ্গু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে আরও ৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ১৭ জন; এর মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। নতুন ও পুরনো রোগী মিলিয়ে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ১৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। ১৫ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে ৪৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, আর একজন মারা গেছেন।

 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *