<![CDATA[
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস বুধবার (২৩ নভেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ নম্বর সেক্টরের মধ্যে এ জনপদে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা ওড়ে। বরিশাল অঞ্চলে সর্বপ্রথম শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর। জেলার রাজাপুর উপজেলাটি তৎকালীন বরিশাল অঞ্চলের একটি প্রশাসনিক থানা ছিল।
রাজাপুর হানাদারমুক্ত হওয়ার আগের দিন রাজাকার ও পুলিশের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের রাতভর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকদোসররা পরাজিত হয়। যুদ্ধে শহীদ হন চার মুক্তিযোদ্ধা। দুজন ঘটনাস্থলেই আর ওপর দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে শাহাদৎবরণ করেন। ২০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা আহত হন সেদিন। প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বীর-উত্তম শাহজাহান ওমর সে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
রাজাপুর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহ-আলম নান্নু বলেন, ‘ভোর ৪টায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে চারদিক থেকে রাজাপুর থানা আক্রমণ করি। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ চলার পর পাক পুলিশ ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। রাজাপুরের আকাশে ওড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এ যুদ্ধে আমরা প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করি।’
আরও পড়ুন: গুজব মোকাবিলায় কি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাপ্টেন শাহজান ওমরসহ অনন্ত ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন এ যুদ্ধে। ওই দিন ৯ নম্বর সেক্টরে রাজাপুর উপজেলাকে প্রথম শত্রুমুক্ত করার যুদ্ধে অংশ নিয়ে আমি গর্বিত।’
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি পালন করছে।
]]>