Skip to content

রুমিন ফারহানার প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? | বাংলাদেশ

রুমিন ফারহানার প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? | বাংলাদেশ

<![CDATA[

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পূরক প্রশ্ন করেন বিএনপির রুমিন ফারহানা। বুধবার (২ নভেম্বর) তার সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

রুমিন ফারহানা বিভিন্ন রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এই রিপোর্ট ওয়ার্ল্ড ফুড প্রজেক্টের। সিপিডি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের দাম সবচেয়ে বেশি। যে ৪২টি দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশ তার একটি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বারবার বলছেন দুর্ভিক্ষ হতে পারে, সবাই যেন সাবধান হয়। প্রথম আলোর লিড নিউজ: চাল আটা ভুট্টার দামে রেকর্ড। খোলা আটা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৩০ টাকা, সেটা অক্টোবরে এসে দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকায়। মোটা চাল ২০২০-এর জানুয়ারিতে ছিল ৩২ টাকা, এই সেপ্টেম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা। ভুট্টা ২৪ টাকা থেকে হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ টাকা। পরে রুমিন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে, তা জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বলেন, আমি আগেই বলেছি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কিছু লোক থাকে। এবং সেসব লোকের কথাই মাননীয় সদস্য বলেছেন। যে পত্রিকাগুলোর নাম তিনি নিয়েছেন তার মধ্যে একটা পত্রিকা কিন্তু আমি কখনো পড়ি না। পড়ি না এ কারণে, তারা সবসময় উল্টো দিকে থাকে। এরা কখনো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক তা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা পছন্দ করে। পছন্দ করে এ জন্য যে তাদের একটু ভালো হয়, কোনো রকম কদর বাড়ে, সে জন্য। আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কোন জায়গা থেকে হিসাব পায় জানি না। এই হিসাব তাদের কখনোই সঠিক হিসাব হয় না।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আজ সারা বিশ্বে যেভাবে পণ্যমূল্য বেড়েছে সেটা যদি দেখেন, সে তুলনায় বাংলাদেশে…। বাংলাদেশে তো দাম বেড়েছে আমি তো অস্বীকার করছি না। আর দাম বেড়েছে বলেই-না আমরা ভর্তুকি দিয়ে স্বল্প মূল্যে, যারা ক্রয় করার সক্ষমতা রাখে না, তাদের দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হেডলাইন দিয়েছে সব দেশের থেকে বাংলাদেশে পণ্যমূল্য বেশি। কিন্তু ভেতরে যে ডেটা দিয়েছে সেখানে বাংলাদেশ হিসাবে আসে না। বাংলাদেশ কয়েকটা দেশ থেকেই ভালো অবস্থায় আছে। এরা কারসাজিটা এভাবেই করে। প্রতিটা ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা এখন এমনভাবে একটা হেডলাইন করে, যা বিভ্রান্তিকর। ভেতরে জাতি দেখুক সেটা সঠিক না। সঠিক তথ্য তারা দেয় না। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়।

সিপিডির নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রতিষ্ঠানটির কথা উনি উল্লেখ করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের তো কোনো কিছুই ভালো লাগে না। তাদের ভালো লাগে কখন, যখন সেনা শাসন ছিল, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তাদের একটু কদর বাড়ত। এই আশায় তারা বসে থাকে–এটাই বাস্তবতা।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *