<![CDATA[
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের লাশ দেশে ফেরাতে এ বছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। পরিবার-পরিজন ছেড়ে দূর প্রবাসে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
কিন্তু এই প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে নজিরবিহীন ভোগান্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ইস্যুসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির শিকার হন। এমনকি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি দেশে পাঠাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ গুণতে হয়।
তারা বলছেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী। এছাড়া বাজেটের অধিকাংশ অর্থ প্রবাসীদের কাছ থেকে আসলেও বাৎসরিক বাজেটে প্রবাসী কর্মীদের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা মোটেও যথেষ্ঠ নয়।
আরও পড়ুন: কুয়েত থেকে রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ
অনেক প্রবাসীকে বিদেশে জেলহাজতে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অর্থের অভাবে দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয় না। আবার যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশে মারা যান তাদের লাশটাও টাকার অভাবে বিদেশের মাটিতে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করতে হয়।
তাই ২০২৩-২৪ বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সাধারণ প্রবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ মে) মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসীরা একযোগে এই দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, প্রবাসীরা স্বাস্থ্যগত অথবা অন্য কোনো জটিলতায় কিম্বা বেশি বয়সের কারণে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরত যাওয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য আমৃত্যু বিশেষ পেনশন স্কিম চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়ায় বাংলা বর্ষবরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদ্যাপন
পাশাপাশি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মীদের ভিসা বাবদ বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের জন্য দ্রুত ই-পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম চালু করার দাবি করা হয়। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইনি জটিলতায় আটকা প্রবাসী কর্মীদের জন্য আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
]]>