<![CDATA[
চলতি বছর দলবদলের বাজারে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে রীতিমতো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাজিমাত করেছে সৌদি আরবের ক্লাব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ভেড়ানো ছিলো সৌদি ফুটবলের সবচেয়ে বড় মাইলফলক। পর্তুগিজ তারকা আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর সৌদি ফুটবল পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রোনালদোর পর ইউরোপের আরও এক বড় তারকা নেইমারকে দলে ভিড়িয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাব আল হিলাল।
আট মাস আগের কথা। সৌদি প্রো লিগ সম্পর্কে ফুটবল ভক্তদের তেমন ধারণাই ছিল না। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এখন সবার মুখে সৌদি ক্লাবগুলোর নাম। যুগের পর যুগ যেখানে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের রাজত্ব চলেছে এককভাবে, সেখানে তুলনামূলক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই লিগটাই এখন প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের ভবিষ্যতকে।
সৌদি ফুটবলে বৈপ্লবিক এই পরিবর্তনের কৃতিত্ব পর্তুগিজ রাজপুত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। রনের সৌদিতে পাড়ি জমানোর পরই যেন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের ভক্তকুল ভাগ হয়ে গেছে দু’ভাগে। শুধুমাত্র সি আর সেভেনের খেলা দেখতেই এখন ভক্তদের মুখে মুখে সৌদি ক্লাবগুলোর নাম। দিন দিন বাড়ছে সৌদি প্রো লিগের জনপ্রিয়তাও।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর আবার ইউরোপে ফিরবেন নেইমার!
পেট্রো ডলারে সমৃদ্ধ দেশটা অর্থ ব্যয়ে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে। রেকর্ড পারিশ্রমিকে রোনালদোকে সাইন করানোর পর ইউরোপের বাঘা-বাঘা সব ফুটবলারকে দলে ভেড়ানোর নেশায় মত্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহরেজদের দলে নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। অর্থের কাছে ক্রমেই যেন হেরে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল। এবারের ট্র্যান্সফার উইন্ডোতে যার প্রভাব দৃশ্যমান।
রোনালদো সম্প্রতি বলেছিলেন, তার সৌদি আরবে যাওয়ায় নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থেই এখন বিশ্ব দেখছে। অনেকেই বলছেন ক্যারিয়ারের শেষ বেলাতে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে সবাই যোগ দিচ্ছেন সৌদি লিগে। কিন্তু ব্যতিক্রমও আছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপের বিলাসবহুল জীবন যাত্রা ত্যাগ করে সৌদি লিগ এখন অনেকেরই নতুন ঠিকানা।
আরও পড়ুন: দুই বছরের চুক্তিতে আল হিলালে নেইমার
রোনালদো-নেইমার-বেনজেমারা হাজারো খেলোয়াড়ের আইডল। সৌদি আরবে এই তারকা ফুটবলাররা সফল হলে নিশ্চিতভাবেই ভবিষ্যতে আরো অনেক ফুটবলার আগ্রহী হবে মধ্যপ্রাচ্যে ক্যারিয়ার গড়তে।
]]>