Skip to content

র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুতে তদন্ত শুরু | বাংলাদেশ

র‌্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুতে তদন্ত শুরু | বাংলাদেশ

<![CDATA[

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে নেয়ার পর নিহত সুলতানা জেসমিনের বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে নিহতের ছেলে, ভাই, মামা, বাড়িওয়ালা ও দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত দল। এর আগে জেলার সার্কিট হাউসে উপস্থিত হন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খাঁন। পরে নওগাঁর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমতিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল করিম, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিহত জেসমিনের স্বজনদের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নিহত জেসমিনের স্বজনরা। তারা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ নিহত জেসমিনের হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন: জেসমিনকে হাসপাতালে নেয়ার সিসিটিভি ফুটেজ মিলল ২ মাস পর

হাইকোর্টের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতানা। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন ।
 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *