<![CDATA[
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় দুই নারীকে থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে অভিযোগ করেছেন এক নারী। এ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেনকে সভাপতি করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কহিনুর সুলতানা ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর সাহিনুর বেগমকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও। সাত দিনের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের দুই নারী চার মাস আগে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আরএসএস প্রকল্পে ৫০ হাজার, ৫০ হাজার মোট এক লাখ টাকা ঋণের প্রস্তাব করেন। ওই দুই নারীর অভিযোগ ঋণ পেতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তারা ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন। চার মাস পার হলেও ওই কর্মকর্তা ঋণ দিতে গড়িমসি করতে থাকেন তিনি। ঋণের ব্যাপারে সোমবার (২২ মে) বিকেল ৪টার দিকে নাজমা ও জান্নাত সমাজসেবা কার্যালয় কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কক্ষে যান।
আরও পড়ুন: থাপ্পড় দিয়ে শিক্ষার্থীর দাঁত ফেলতে চেয়েছিলেন বগুড়ার সেই বিচারক
তখন ওই নারীরা বলেন, আমাদের ঋণ দেবেন কবে, তখন ঋণ দিতে অস্বীকার করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। একপর্যায়ের তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে এক নারীর গালে থাপ্পড় মারেন মিজানুর রহমান। প্রতিবাদ করলে ওপর নারীর বুকে ধাক্কা মারেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন নাজমা।
ভুক্তভোগী নাজমা বেগম ও জান্নাত বেগম সময় সংবাদকে বলেন, ঘুষ দিয়ে চার মাস ঘুরেছি ঋণ পাইনি। তাই সোমবার বিকেলে সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিসারের কক্ষে যাই এবং বলি আমাদের ঋণ দেবেন কবে। ঋণ না দিলে আমাদের টাকা ফেরত দেন। টাকা ফেরত চাওয়ায় এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের তর্ক হয়। একপর্যায়ে থাপ্পড় ও বুকে ধাক্কা মারেন মিজানুর রহমান। আমাদের টাকা ফেরত চাই। আর থাপ্পড় ও ধাক্কার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ‘ভুল চিকিৎসা’য় রোগীর মৃত্যু, নার্সকে থাপ্পড়ের ঘটনায় স্বজনদের মারধর
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই দুই নারী যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই নারীরা আমার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ হলে সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য সমাজসেবা ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়ে দেব।
সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।
]]>