Skip to content

শিরোপা উৎসবের মধ্যেই চাকরি হারালেন বায়ার্ন কিংবদন্তি | খেলা

No description available.

<![CDATA[

টানা ১০ মৌসুম যে বুন্দেসলিগার শিরোপাটাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল, সেটাই এবার হারাতে বসেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ভাগ্যিস শেষদিনে এসে পা হড়কাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তারই সুবাদে টানা ১১ মৌসুম বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। তবে শিরোপা জিতেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাবটি। শিরোপা জয়ের খানিক পরেই বরখাস্ত করেছে ক্লাবের দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে।

বুন্দেসলিগার শেষ রাউন্ডের খেলায় শনিবার (২৭ মে) কোলনকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা ১১ মৌসুমের মতো শিরোপা জেতে বায়ার্ন। তবে এরপরই আনন্দের দিনে ক্লাবের কিংবদন্তি ও প্রধান নির্বাহী অলিভার কানকে বরখাস্ত করে ক্লাবটি। একই সঙ্গে ক্রীড়া পরিচালক হাসান সালিহামিদিচকেও বরখাস্ত করে বায়ার্ন।

 

অলিভার কান (বাঁয়ে) ও হাসান সালিহামিদিচ (ডানে)। ছবি: গোল ডট কম।

কোলনের বিপক্ষে জয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পর বায়ার্নের সভাপতি হার্বাট হেইনার মিক্সড জোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ক্লাবের তদারকি বোর্ড নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা আপনারা হয়তো এরই মধ্যে শুনেছেন।’

আরও পড়ুন:ডর্টমুন্ডের স্বপ্নে গুড়ে বালি, টানা ১১ শিরোপা বায়ার্নের

বায়ার্ন লিগের শেষ ম্যাচটা খেলতে নেমেছিল পয়েন্ট তালিকায় ডর্টমুন্ডের চেয়ে পিছিয়ে থেকে। তাই নিজেরা জিতলেও তা পর্যাপ্ত হতো না, যদি ডর্টমুন্ড মেইঞ্জের বিপক্ষে জয় পেতো। এমনকি বায়ার্ন যদি ড্র করত তবুও ডর্টমুন্ডের ২-২ গোলের ড্রয়ই তাদের শিরোপা এনে দিত।

 

No description available.
টানা ১১বারের মতো লিগ শিরোপা জিতে উল্লাস করছে বায়ার্ন মিউনিখ। ছবি: গোল ডট কম।

এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। অন্যদিকে ২৪ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল খেয়ে বসে ডর্টমুন্ড। এমন ফল নিয়ে বিরতিতে গেলেও মুখে হাসি দেখা যায়নি সালহামিদিচের। তখনই হয়ত জেনে গিয়েছিলেন নিজের ভাগ্য।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে নাটক জমে উঠেছিল। ৮১ মিনিটে সমতায় ফিরেছিল কোলন। অন্যদিকে রাফায়েল গুরেরোর গোলে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল ডর্টমুন্ডও। তবে ৮৯ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে জয় নিশ্চিত হয় বায়ার্নের। অন্যদিকে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নিকলাস সুলে গোল করে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরালেও জয়সূচক গোলটি আর করতে পারেনি তারা। তাই সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ডর্টমুন্ডকে। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েও চাকরি হারালেন কান ও সালহামিদিচ।   

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *