<![CDATA[
পরিবারের ধারদেনা পরিশোধ করে সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন পূরণ হল না নড়াইলের ঘোড়াগাড়ি চালক কিশোর শয়নের (১৪)। ঘাতকের নির্মমতায় অকালে ঝরে গেল তার উচ্ছ্বাস ভরা প্রাণ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শয়নের মরদেহ নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা কৈ বিলের ধার থেকে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) উদ্ধার করা হয়। সে নিধিখোলা গ্রামের নাজমুল শেখের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, শয়ন বুধবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিধিখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাজুর দোকানে যায়। সেখানে তাকে রাত ৮টা পর্যন্ত দেখা গেছে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বিলের ধারে নির্জন পাটক্ষেতের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আরও পড়ুন: ইমনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ফেলা হয় ডোবায়: ডিবি
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, যে বয়সে খেলাধুলায় সময় পার করার কথা, সেই বয়সে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাজে নামে শয়ন। অর্থ উপার্জনের জন্য ঘোড়ার গাড়ি চালানো, জমির কাজ, ভ্যান চালানোসহ সামনে যখন যে কাজ পেতো সেটাই করতো।
শয়নের মা মিতা বেগম বলেন, সংসারে অভাবের জন্য শয়নকে স্কুলে না দিতে পারলেও তার কোনো খারাপ সঙ্গ ছিল না। পরিবারের দেনা মেটাতে সবসময় সে কাজ করতো। সংসারে উন্নতির স্বপ্ন দেখাতো। ঘাতকরা তার সে স্বপ্ন পূরণ হতে দিল না। তিনি ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানান।
পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন বলেন, ‘হত্যা রহস্য দ্রুততম সময়ে উদঘাটনে সম্ভাব্য বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’
]]>