<![CDATA[
কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার সী আলিফ হোটেলে স্ত্রী সুমা দে ও ৮ মাস বয়সি কন্যাশিশুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন জেমিন বিশ্বাস। স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনাটি সংগঠিত করা হয়।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি, প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম জানান, জেমিন বিশ্বাস চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামের দুলাল বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩ মাস আগে ওমান গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন জেমিন। নানা কারণে স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ এবং ছোট্ট মেয়ের আসল পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে জেমিন। জেমিন জানিয়েছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বড় ২ মেয়েকে নাস্তার কথা বলে নিচে নামিয়ে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ৮ মাসের মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর বড় ২ মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে নারী হত্যার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার
এএসপি জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেমিনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতারের পর কক্সবাজার আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানা এলাকার শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মার্শা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে থেকে জেমিনকে গ্রেফতার করা হয় বলে এর আগে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম।
আরও পড়ুন: বালতির পানিতে ডুবে মেয়ের মৃত্যু, রেগে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা
নিহত সুমা দে বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দে’র মেয়ে। সুমার কোন নিকটাত্মীয় নেই আর জেমিনের খালাত বোনের স্বামী সৈকত দাশ ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের মরদেহ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সি আলিফ এর ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
]]>