Skip to content

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: রেজাউল ও মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি | বাংলাদেশ

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: রেজাউল ও মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি | বাংলাদেশ

<![CDATA[

জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রেজাউল করিম ও মনিরুল ইসলাম মনির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে জামালপুরের বকশিগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালতে তারা এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইউসূফ আলী জানান, চার দিনের রিমান্ড শেষে ছয় আসামির মধ্যে রেজাউল ও মনিরুজ্জামান বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রোববার (১৮ জুন) সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তার ১২ সহযোগীর মধ্যে রেজাউল করিম  ও মনিরুল ইসলাম মনিরসহ ছয় জনের চার দিন আর বাকি ছয় জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন আসামিকে রোববার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ভিন্ন মেয়াদে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তানভীর আহমেদ।

এর আগে সকাল ১১ টায় বকশীগঞ্জ থানা থেকে মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুসহ তিন জনকে জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। বিকাল ৩ টায় তাদের আদালতে নিয়ে আসে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা /চেয়ারম্যান বাবু ৫ দিনের রিমান্ডে

শনিবার (১৭ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৯ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রোববার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

শনিবার গঞ্চগড়ে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, জাকিরুল ও মনিরকে আটক করে র‌্যাব। পরে বগুড়া থেকে আটক করা হয় রেজাউলকে।

রোববার দুপুরে চার জনকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহেল রানা।

তবে এখনও বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাতের কোনো হদিস এখনও পাওয়া যায়নি।

শনিবার বকশিগঞ্জ থানায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মনিরা বেগম বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যার মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার এবং তার রিমান্ড মুঞ্জুর হওয়ায় কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছি।

তার দাবি, মামলার ২ নাম্বার আসামি বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত ও রাকি বিল্লাহ্ এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে রিমান্ডের দাবি করেন। এছাড়া সকল হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

এদিকে, রোববারও (১৮ জুন) নাদিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বুধবার (১৪ জুন) রাতে বকশীগঞ্জের মোড়ে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর হামলা চালানো হয়। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম।

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *