<![CDATA[
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম শরিফুল ইসলাম (৩২)।
সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শরিফুলের শরীরে ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শ্রমিক নিহত
এর আগে, শনিবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে দগ্ধদেরকে ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে বার্ন ইনস্টিটাউটে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে নিহত শরিফুলের ছেলে সোহাগ (৬), কারখানাটির ব্যবস্থাপক বিল্লাল (৩৫), কর্মচারী নুরনবী (১৮)। আর দগ্ধ আরেকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শরিফুলের স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, তারা আশুলিয়ার তেতুলতলা এলাকায় থাকেন। তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। আর তার স্বামী শরিফুল রিকশাচালক। ওইদিন সকালে সোনালী গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় খবর শুনতে পান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে, তার স্বামী-সন্তান দগ্ধ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শনিবার আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় একটি টিনসেড ঘরে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। ঘটনাস্থলে টিনশেডের সাতটি ঘর ছিল। পাঁচটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হতো। ধারণা করা হচ্ছে, সেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মা-বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে ধ্রুবর আত্মহত্যা
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সোহাগের শরীরের ২০ শতাংশ, নুর নবীর ৪৩ ও বিল্লালের ৩৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
]]>