<![CDATA[
সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বিপুল ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দুর্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থিং শিডিউলেও প্রভাব পড়েছে। তাতে বন্দরকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চট্টগ্রামে বড় ধরনের আঘাত না করলেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাইকারি বাজার চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আসাদগঞ্জ। শতকোটি টাকার ভোগ্যপণ্য ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের পানি ঢুকে পাইকারি এ বাজারের দোকান ও গুদামের পেঁয়াজ, চিনি, ডাল, চালসহ শত শত বস্তার খাদ্যপণ্য পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ক্ষতি ১৯৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও বেশি।
চাক্তাই শিল্প ও বণিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ জাহেদি বলেন, এখানে মোট ২ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে। এ ছাড়া অসংখ্য আড়ত ও গুদাম আছে। প্রায় প্রতিটিতে পানি ঢুকেছে এবং পণ্যের ক্ষতি হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পানি থেকে মালামাল রক্ষার জন্য বাজারের প্রতিটি দোকান ও গুদামের সামনে এক থেকে দুই ফুট উচ্চতার দেয়াল দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও কয়েকশ দোকান ও গুদামের নিচতলা সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারে ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: নষ্ট হওয়া পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা
ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক বেশি পানি উঠে যায়। তা ছাড়া আমাদের তো অনেক পণ্য। আমরা এক রাতের মধ্যে এত পণ্য কোথায় নেব? অনেক পণ্য নষ্ট হয়েছে। কিছু পণ্য আছে যেগুলো আর বিক্রি বা খাওয়ার যোগ্য নয়। এগুলো ফেলে দেয়া ছাড়া উপায় নেই।’
এ ছাড়া সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ছিল। এতে বন্দরের নিরাপত্তায় জেটিতে থাকা ১৮টি জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বন্ধ ছিল পণ্য ওঠানামার কার্যক্রমও। কর্ণফুলীতে অবস্থান নেয় পাঁচ শতাধিক লাইটার জাহাজ। সব মিলিয়ে বন্দরকেও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সিত্রাংয়ের কারণে এক দিন কনটেইনার লোডিং ডিসচার্জিং বন্ধ ছিল। ডিপো থেকে কনটেইনার যাওয়া-আসা বন্ধ ছিল। সার্বিকভাবেই একটা ক্ষতি তো হবেই।
এদিকে সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে চট্টগ্রামে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
]]>