Skip to content

সিলেটের প্রবাসীরা যে কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন | বাণিজ্য

সিলেটের প্রবাসীরা যে কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন | বাণিজ্য

<![CDATA[

যুক্তরাজ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সিলেটের প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে প্রবাসীরা বলছেন, ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে দেশটির অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। আবার সেই দেশের সরকার তাদের দেশের অর্থ অন্য দেশে পাঠাতেও বাধা সৃষ্টি করছে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যানের প্রকাশিত তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত গত ১২ মাসে যুক্তরাজ্যে ভোক্তাপণ্যের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক এক শতাংশ, যা ১৯৮১ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাগামহীন দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব জনজীবনেও পড়েছে।

যুক্তরাজ্যের বাংলা মিররের সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল করিম বলেন, সবকিছুর দামই চড়া। এতে যুক্তরাজ্যজুড়ে বাসিন্দাদের জীবনযাপনে প্রভাব পড়েছে।  

আবার যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাতেও বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দেশটিতে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাজ্য ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আহমদ চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সে দেশও চাচ্ছে যে এ অর্থগুলো তাদের অর্থনীতিতেই থাকুক। এর কারণেই আমাদের রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের সংকট নেই: সালমান এফ রহমান

অন্যদিকে দেশের ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ধস নামায় প্রবাসীরা পরিবার সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছে।

সিলেটের পূবালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবু লেইস মো. সামসুজ্জামান বলেন, ব্রেক্সিটসহ নানাবিধ কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি তেমন ভালো অবস্থানে নেই। তাদের দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তা ছাড়া আমাদের দেশের লোক যা আয় করেন, তা দিয়ে তাদের সেখানে চলতেই কষ্ট হচ্ছে। দেশের তারা রেমিট্যান্স কী করেই বা পাঠাবেন।

দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে যুক্তরাজ্য। এরপর থেকে সে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামতে থাকে, যা এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 

]]>

সূত্র: সময় টিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *